ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা বাদ দিতে পারেন জেলেনস্কি

পশ্চিমা দেশগুলো যদি ইউক্রেনের জন্য আইনিভাবে বাধ্যতামূলক নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেয়, তাহলে সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার আকাঙ্ক্ষা থেকে সরে আসতে পারেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সাম্প্রতিক একাধিক কূটনৈতিক বৈঠকের পর তার এমন অবস্থানের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
বিজ্ঞাপন
২০২২ সালে রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার হামলার আগেই যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছিল ইউক্রেন। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর সেই প্রচেষ্টা আরও জোরদার হয়। তবে দীর্ঘদিন ধরেই ইউক্রেনের এই আকাঙ্ক্ষায় সরাসরি সমর্থন দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ।
জার্মানির রাজধানী বার্লিনে যুক্তরাষ্ট্রের দূত ও ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর স্পষ্ট হয়ে ওঠে—ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার বিষয়ে আর আগের মতো জোর দিচ্ছে না কিয়েভ।
রাশিয়ার সঙ্গে সম্ভাব্য শান্তিচুক্তি করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চাপের মুখে গত রবিবার মার্কিন প্রতিনিধিদের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসেন জেলেনস্কি। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ট্রাম্পের দুই শীর্ষ দূত স্টিভ উইটকোফ এবং তার জামাতা জার্ড ক্রুশনার।
বিজ্ঞাপন
বৈঠকে জেলেনস্কি জানান, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলো যদি ইউক্রেনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেয়, তাহলে ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার দাবি থেকে সরে আসতে তিনি প্রস্তুত। তিনি এটিকে শান্তি আলোচনার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ছাড় হিসেবে উল্লেখ করেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, শুরু থেকেই ইউক্রেনের আকাঙ্ক্ষা ছিল ন্যাটোতে যোগ দেওয়া—কারণ এটিই প্রকৃত নিরাপত্তা গ্যারান্টি। কিন্তু ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্র কখনোই এই লক্ষ্যকে পূর্ণ সমর্থন দেয়নি।
বিশ্লেষকদের মতে, যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হওয়া, পশ্চিমা সহায়তায় অনিশ্চয়তা এবং শান্তি আলোচনার আন্তর্জাতিক চাপ—সব মিলিয়েই ইউক্রেনকে বাস্তববাদী অবস্থানে আসতে বাধ্য করছে।
বিজ্ঞাপন
সূত্র: আল জাজিরা








