লালমনিরহাটে ঝড়ে উড়ে গেছে ভিক্ষুকের ঘর, ২১ দিনেও খবর রাখেনি কেউ

আশ্রয়হীন প্রতিবন্ধী এখন খোলা আকাশের নিচেই ২১ দিন ধরে অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে রাত্রিযাপন করছেন।
বিজ্ঞাপন
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে কালবৈশাখী ঝড়ে উড়ে গেছে এক প্রতিবন্ধী ভিক্ষুকের ঘর। টিন, বাঁশ, কাঠ সব ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে। আশ্রয়হীন প্রতিবন্ধী এখন খোলা আকাশের নিচেই ২১ দিন ধরে অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে রাত্রিযাপন করছেন।
আরও পড়ুন: ট্রেন চালুর দাবিতে লালমনিরহাটে সড়ক অবরোধ
বিজ্ঞাপন
গত ২৮ এপ্রিল উপজেলার দলগ্রাম ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের প্রতিবন্ধী ইউসোফ আলীর ঘর কালবৈশাখী ঝড়ে উড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে । এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত স্থানীয় জনপ্রতিনিধি কিংবা উপজেলা প্রশাসনের কেউ খোঁজ নেয়নি বলে জানান ওই প্রতিবন্ধী।
বিজ্ঞাপন
রাবিবার (১৮ মে) সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে,ওই প্রতিবন্ধীর নিজের কোন জমি নেই অন্যের জমিতে কয়েকটি টিন দিয়ে ঘর তৈরি করে থাকতেন । তার একমাত্র সম্বল টিনের ঘরটি উড়ে গেছে কালবৈশাখী ঝড়ে। খোলা আকাশের নিচে পড়ে আছে কাঠের ভাঙ্গাচোরা চোকি, কাঁথা-বালিশ ও হাড়ি-পাতিল। ভাঙা ঘরে উঁকি দিচ্ছে আকাশে ঘনকালো মেঘের আনাগোনা। এই বুঝি নামবে বৃষ্টি। ভিজে যাবে উড়ে যাওয়া ঘরে থাকা বসবাসের বিছানাপত্র। এরকম ভাঙা ঘরে বসে দুশ্চিন্তায় দু’চোখজুড়ে হতাশার ছাপ প্রতিবন্ধী ইউসোফ আলীর। ২১ দিনেও ঘর মেরামত করতে না পারায় অসুস্থ স্ত্রী সারেজা বেগমকে নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন ওই প্রতিবন্ধী।
প্রতিবন্ধী ইউছোব কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, ‘সেদিন মুই ঘরোত অসুস্থ বউয়োক নিয়া শুতি আছুং। আইতোত হুরকা বাতাসে মোর ঘরোত বাতাস আসিয়া ঘর উল্টে দিছে বাবা। মেম্বার-চেয়ারম্যান কাও আইসে নাই। ঠিকমতোন খাবার পাংনা বাবা। মুই ঘর তুলিম কেমন করি। হামার এটেকার চকিদার আসি মোর ভোটের ছবি আর ভাঙ্গা ঘরের ছবি নিয়া গেইছে আর আইসে নাই। কায় হামার ঘর ভাল করি দেয় বাবা।’
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
ওই গ্রামের খাইরুল নামের এক ব্যবসায়ী বলেন ‘অসহায় এই পরিবারটি প্রাকৃতিক দুর্যোগে গৃহহারা হওয়ার ২১ দিন ধরে খোলা আকাশের নীচে বসবাস করছেন। এখনও পরিবারটি সরকারি কোন সহযোগিতা পায়নি ।
এদিকে উপজেলা প্রশাসনের কেউ এখনও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়ায়নি বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
বিজ্ঞাপন
এসডি/
বিজ্ঞাপন








