Logo

চিকিৎসাক্ষেত্রে চীনা বিজ্ঞানীদের যুগান্তকারী সফলতা

profile picture
জনবাণী ডেস্ক
৬ জুলাই, ২০২৫, ০৭:৫০
60Shares
চিকিৎসাক্ষেত্রে চীনা বিজ্ঞানীদের যুগান্তকারী সফলতা
ছবি: সংগৃহীত

মানবদেহে এই প্রযুক্তি প্রয়োগ এখনো সময়সাপেক্ষ বিষয় বলে জানিয়েছে তারাThey said that applying this technology to the human body is still a time-consuming matter

বিজ্ঞাপন

একটু ভেবে দেখুন তো, শরীরের কোনো অঙ্গ কেটে গেলে তা আবার আগের মতো গজিয়ে উঠছে। ধরুন আপনার হাত বা পা কেটে গেছে। কিন্তু আপনার শরীর নিজে নিজেই সেই ক্ষতস্থান পুনরায় সারিয়ে তুলছে। এটা গল্পের মতো শোনালেও এবার বিজ্ঞান সেই পথেই হাঁটছে। তবে এখনো এটি গবেষণাগারেই ইঁদুরের ওপর সফলতা পেয়েছে। মানবদেহে এই প্রযুক্তি প্রয়োগ এখনো সময়সাপেক্ষ বিষয় বলে জানিয়েছে তারা।

চীনা বিজ্ঞানীরা এবার এক যুগান্তকারী গবেষণায় দেখিয়েছেন, ইঁদুরের কানের ক্ষত পুনর্গঠনের পেছনে রয়েছে এক রহস্যময় ‘জেনেটিক সুইচ’। এবং তারা সেই সুইচ অন করে দেখিয়েছেন, অঙ্গ পুনর্জন্ম শুধু কল্পনা নয়, এটি বাস্তবেও সম্ভব।

বিজ্ঞাপন

এই গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞান সাময়িকী সায়েন্স-এ। এতে জানানো হয়, ইঁদুরের কানে ফুটো অংশ আবার নতুন করে গজিয়েছে, একেবারে ভেতরের কার্টিলেজসহ! এমন প্রমাণ  আগে কখনও মেলেনি।

বিজ্ঞাপন

গবেষণার অন্যতম বিজ্ঞানী ওয়াং ওয়ে, বর্তমানে বেইজিংয়ের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োলজিকাল সায়েন্সের সহকারী গবেষক। তিনি বলেন, ‘আমরা দেখতে চাচ্ছি কীভাবে ইঁদুররা তাদের বিবর্তনের পথে এই পুনর্জন্মের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে। নিশ্চয়ই এর পেছনে কোনো জৈবিক কারণ আছে।’

বিজ্ঞাপন

গবেষণা বলছে, অঙ্গ পুনর্জন্মে মূল চাবিকাঠি এক রাসায়নিক ‘রেটিনয়িক অ্যাসিড’, যা তৈরি হয় ভিটামিন-এ থেকে। এটি শরীরের কোষকে নির্দেশ দেয়, কোথায় কীভাবে গঠন হতে হবে। আর এই উপাদানটি উৎপাদনের জন্য একটি নির্দিষ্ট জিন কাজ করে।

বিজ্ঞাপন

তিন বছর ধরে কাজ করেছেন ওয়াং ও তার দল। প্রতিবার নতুন জিনের পরীক্ষা করেও ফল না পেয়ে হতাশ হয়েছেন। অনেক সময় কিছু জিন ক্ষত সারানোর বদলে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু তারা হাল ছাড়েননি। অবশেষে একদিন মিলল সেই কাঙ্ক্ষিত জিন। এটি রেটিনয়িক অ্যাসিড তৈরির কৌশল জানে।

ওয়াং বলেন, ‘একটা মাত্র জিন এত বড় পরিবর্তন আনতে পারে তা দেখে আমরা রীতিমতো অভিভূত হয়ে গিয়েছিলাম।’

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

এই গবেষণায় ব্যবহার হয়েছে স্টেরিও-সিক নামের এক অভিনব প্রযুক্তি, যাকে গবেষকেরা বলেন ‘জীবনের ক্যামেরা’। এটি শুধু কোষের ছবি তোলে না, বরং দেখে কোন জিন কখন ও কিভাবে কাজ করছে।

সহ-গবেষক ডেং জিচিং, বিজিআই রিসার্চের জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী, বলেন, ‘এই প্রযুক্তির সাহায্যে আমরা খুঁটিনাটি বুঝতে পেরেছি- আসলে কোন ধাপে কী ঘটছে। এটা যেন অঙ্গ পুনর্জন্মের পুরো মানচিত্র খুলে দিল।’

বিজ্ঞাপন

তবে এখনো পথ অনেক বাকি। মানুষের অঙ্গ ইঁদুরের মতো ছোট নয়। হৃৎপিণ্ড, মেরুদণ্ড বা লিভার- সবই জটিল এবং বিশাল। এবং একেক অঙ্গে একেক রকম সংকেতপ্রক্রিয়া কাজ করে।

বিজ্ঞাপন

ওয়াং বলেন, ‘এই গবেষণা প্রমাণ দিয়েছে, জিনগত একটি সুইচ সত্যিই আছে, যা অঙ্গ পুনর্জন্ম চালু করতে পারে। এবার আমাদের কাজ, অন্যান্য অঙ্গের সেই সুইচগুলো খুঁজে বের করা।’

মানবদেহে এ প্রয়োগ এখনো সময়সাপেক্ষ হলেও বিজ্ঞানীরা আশাবাদী, একদিন হয়তো পঙ্গু মানুষকেও নতুন আশার আলো দেখাতে পারবে তাদের এ গবেষণা।

বিজ্ঞাপন

এমএল/ 

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ

মোঃ শফিকুল ইসলাম ( শফিক )

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ৫৭, ময়মনসিংহ লেন, ২০ লিংক রোড, বাংলামটর, ঢাকা-১০০০।

ফোনঃ 02-44615293

ই-মেইলঃ dailyjanobaninews@gmail.com; dailyjanobaniad@gmail.com

জনবাণী এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। কপিরাইট © ২০২৫

Developed by: AB Infotech LTD