পারমাণবিক আলোচনা নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাবি প্রত্যাখ্যান ইরানের


Janobani

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭:৫৭ অপরাহ্ন, ৮ই জুলাই ২০২৫


পারমাণবিক আলোচনা নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাবি প্রত্যাখ্যান ইরানের
ছবি: সংগৃহীত

পারমাণবিক আলোচনা নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে ইরান। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাঈল বাঘেই এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেন।


মঙ্গলবার (০৮ জুলাই) মেহের নিউজের এক প্রতিবেদনে এমনই তথ্য জানানো হয়েছে।


প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের তেহরান ও ওয়াশিংটনের মধ্যে পারমাণবিক আলোচনাসংক্রান্ত দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন ইসমাঈল বাঘেই। তিনি বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে আমেরিকার সঙ্গে কোনো বৈঠকের বিষয়ে অনুরোধ করা হয়নি।


আরও পড়ুন: তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কা! চীন-রাশিয়ার বন্ধুত্ব নিয়ে ন্যাটোর হুঁশিয়ারি


এর আগে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, মার্কিন-ইরান পারমাণবিক আলোচনা আবারও নির্ধারিত হয়েছে। আগামী সপ্তাহে নরওয়ের ওসলোতে এ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে।


শুক্রবার (০৪ জুলাই) এক্সিওজের বরাতে আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র আগামী সপ্তাহে ইরানের সঙ্গে আলোচনায় বসতে যাচ্ছে। নরওয়েতে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে জানা গেছে। পরমাণু ইস্যুতে দুই দেশের মধ্যে এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।


ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফও একই রকম দাবি করেছিলেন। তিনি বলেন, আগামী সপ্তাহে বা তার কাছাকাছি সময়ে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে।


শুক্রবার (১৩ জুন) ইসরায়েল ইরানের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন আগ্রাসন শুরু করে, যার ফলে অনেক উচ্চপদস্থ সামরিক কমান্ডার এবং পারমাণবিক বিজ্ঞানী প্রাণ হারান। নিহত হন বহু বেসামরিক নাগরিকও। তেহরান জানায়, হামলায় ৯০০ জনেরও বেশি বেসামরিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্র ও সামরিক স্থাপনাসহ বহু ভবন।


আরও পড়ুন: গাজায় বোমা বিস্ফোরণে ৫ ইসরায়েলি সেনা নিহত


প্রতিক্রিয়ায়, ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) নেতৃত্বে ইরানের সশস্ত্র বাহিনী ইসরায়েলের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী এবং অভূতপূর্ব প্রতিশোধমূলক অভিযান শুরু করে। অপারেশন ট্রু প্রমিজ থ্রি অভিযানে প্রথমবারের মতো অভ্যন্তরীণভাবে উন্নত নতুন প্রজন্মের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে তেহরান।


শত শত ইরানি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন ইসরায়েলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেয় এবং দখলকৃত ইসরায়েলি ভূখণ্ডজুড়ে গুরুত্বপূর্ণ সামরিক, গোয়েন্দা, শিল্প, জ্বালানি ও গবেষণা স্থাপনায় আঘাত হানে। ১২ দিনের সংঘাতের পর ২৪ জুন যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে অবসান হয় উভয়পক্ষের হামলা পাল্টা হামলা।


এমএল/