গাজায় আরও ৭৪ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল


Janobani

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ০১:৩৯ অপরাহ্ন, ১০ই জুলাই ২০২৫


গাজায় আরও ৭৪ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
ছবি: সংগৃহীত

গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বাহিনীর একদিনের অভিযানে নিহত হয়েছেন অন্তত ৭৪ জন ফিলিস্তিনি। 


বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।


প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার গাজায় চালানো বিভিন্ন বিমান ও স্থল হামলায় নিহতদের মধ্যে অন্তত ৮ জন ছিলেন, যারা গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) একটি বিতরণকেন্দ্র থেকে খাদ্য সহায়তা নিতে গিয়েছিলেন।


গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে জানা গেছে, চলমান যুদ্ধের মধ্যে বিভিন্ন সহায়তা কেন্দ্রে হামলায় এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৭৭০ জনের বেশি। আর ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরাইলি অভিযানে মোট প্রাণহানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৭ হাজার ৬০০ জনে।


আল জাজিরার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, গাজায় এখন এমন অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে যে, মানুষ খাদ্যের জন্য লাইনে দাঁড়িয়েই গুলির শিকার হচ্ছে। এই পরিস্থিতিকে নিত্যদিনের এক ‘ভয়াবহ বাস্তবতা’ হিসেবে বর্ণনা করছে স্থানীয়রা।


এই মানবিক সংকটের মধ্যেই ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ সংগঠন হামাস জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতার আলোচনার অংশ হিসেবে তারা ১০ জন ইসরাইলি বন্দিকে মুক্তি দিতে সম্মত হয়েছে।


হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতা তাহের আল-নুনু বলেন, “আমরা সর্বশেষ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব গ্রহণ করেছি। গণহত্যা বন্ধ, ত্রাণ প্রবাহ নিশ্চিত করা এবং আমাদের জনগণের সুরক্ষার স্বার্থে আমরা প্রয়োজনীয় নমনীয়তা দেখিয়েছি।”


তিনি আরও বলেন, যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়ে ইসরাইলি বাহিনী যেসব এলাকায় থাকবে, তা এমনভাবে নির্ধারণ করতে হবে যাতে সাধারণ ফিলিস্তিনিদের জীবনযাত্রা ব্যাহত না হয় এবং পরবর্তী আলোচনা সহজ হয়।


এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি হওয়ার ‘ভালো সম্ভাবনার’ কথা জানিয়েছেন। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, “এই সপ্তাহ কিংবা আগামী সপ্তাহে চুক্তি হতে পারে, কিন্তু কিছুই নিশ্চিত নয়। যুদ্ধ ও গাজার মতো বিষয়গুলোতে নিশ্চিত করে কিছু বলা যায় না।”


গাজায় চলমান এই সংকট নিয়ে জাতিসংঘ, মানবাধিকার সংস্থা এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন বারবার উদ্বেগ প্রকাশ করলেও বাস্তব মাটিতে পরিস্থিতির উন্নতির কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। বরং প্রতিদিনের সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়ছে এবং মানবিক বিপর্যয় আরও গভীরতর হচ্ছে।


আরএক্স/