যুক্তরাষ্ট্রে আখের রস দিয়ে কোকাকোলা তৈরির ঘোষণা ট্রাম্পের
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৩:০১ পূর্বাহ্ন, ১৮ই জুলাই ২০২৫

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শিগগিরই স্বাদ বদলাতে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় কোমল পানীয় কোকাকোলার। এখন থেকে দেশটিতে কোকাকোলা তৈরি হবে আখের রস থেকে প্রস্তুতকৃত চিনি দিয়ে।
বুধবার (১৬ জুলাই) নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালের এক পোস্টে এই ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে সত্যিকার আখের রস দিয়ে কোকাকোলা তৈরির ব্যাপারে আমি কোম্পানিটির কর্মকর্তাদেরকে বলেছি এবং তারা তাতে সম্মত হয়েছেন। আমি কোকাকোলার কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এটা খুব ভালো একটি পদক্ষেপ হবে—আপনারা দেখবেন, এটা সত্যিই ভালো হবে।
আরও পড়ুন: আবারও ইরানে হামলার পরিকল্পনা আমেরিকা-ইসরায়েলের
ট্রাম্পের এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে কোকাকোলা কোম্পানি। কোম্পানির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমরা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উৎসাহকে স্বাগত জানাচ্ছি। এ ব্যাপারে শিগগিরই আমরা আরও বিস্তারিত তথ্য জানাব।
কোকাকোলায় যে মিষ্টি ব্যবহৃত হয়—তা মূলত উচ্চমাত্রার ফ্রুক্টোজযুক্ত কর্ন সিরাপ। এটি উচ্চক্যালরিযুক্ত এবং স্বাস্থ্যের জন্য আখের রসের চেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। ডায়েট কোকে অবশ্য সেই সমস্যা নেই। কারণ ডায়েট কোকে মিষ্টি স্বাদের জন্য ব্যবহার করা হয় অ্যাসপারটেম নামের একটি উপাদন। এটি সম্পূর্ণ ক্যালরিমুক্ত।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্ন রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট জন বোডে এ প্রসঙ্গে এপি নিউজকে বলেছেন, কোকাকেলায় উচ্চ ফ্রুক্টোজের কর্ন সিরাপের পরিবর্তে আখের রস দ্বারা তৈরি চিনি ব্যবহার করলে আমেরিকার খাদ্যপ্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প লোকসানের মুখে পড়বে। কমে যেতে পারে কৃষকদের আয়। এমনকি দেশের বাজারে বিদেশি চিনির আমদানি বেড়ে যেতে পারে—যার কোনও পুষ্টিগত উপকারিতাও নেই।
আরও পড়ুন: সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাল নেতানিয়াহুর সরকার
বর্তমানে মেক্সিকো, ব্রিটেন, আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতে কোকাকোলা তাদের পানীয়ে আখের রস দিয়ে তৈরি চিনি ব্যবহার করে। এক সময় যুক্তরাষ্ট্রেও আখের রসের চিনি ব্যবহার করা হতো, কিন্তু ১৯৮৫ সাল থেকে ওই চিনি ব্যবহারের পরিবর্তে কর্ন সিরাপ ব্যবহার করে পণ্য তৈরি করা শুরু করে কোকাকোলা।
এর নেপথ্যে মূল কারণ ছিল দেশটিতে চিনির মূল্যবৃদ্ধি এবং কৃষি ভর্তুকিতে নিয়ম পরিবর্তন। যদি কোকাকোলা যুক্তরাষ্ট্রে ফের আখের রসের তৈরি চিনি ব্যবহার শুরু করে, তাহলে তা দেশটির কর্ন চাষী ও খাদ্যপ্রক্রিয়াজাত শিল্পের উপর চাপ তৈরি করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এমএল/