বরিশালে যে শান্তি পাই, তা আর কোথাও পাই না: সাফা কবির


Janobani

বিনোদন প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫:২৩ অপরাহ্ন, ১৯শে জুলাই ২০২৫


বরিশালে যে শান্তি পাই, তা আর কোথাও পাই না: সাফা কবির
ছবি: সংগৃহীত

ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাফা কবির। একটি বিজ্ঞাপনচিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে শোবিজ অঙ্গনে পা রাখেন তিনি। এরপর আরও বেশ কিছু বিজ্ঞাপনচিত্রে মডেল হয়েছেন সাফা। ‘অল টাইম দৌড়ের উপর’ টেলিফিল্মে অভিনয়ের মাধ্যমে অভিনেত্রী হিসেবে যাত্রা শুরু করেন এই অভিনেত্রী। এরপর থেকে নিয়মিত অভিনয় করছেন তিনি। নিজের অভিনয় দক্ষতা দিয়ে নাটকের পাশাপাশি বিভিন্ন ওয়েব ফিল্মে অভিনয় করে দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন।


আগের চেয়ে কাজ এখন অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছেন সাফা কবির। ঈদের বিরতি কাটিয়ে ফিরলেন শুটিংয়ে। ফিরেই একটি নাটকের শুটিংয়ে গেলেন নিজের গ্রাম বরিশালে। টানা এক সপ্তাহ শুট করে ফিরেছেন ঢাকায়।


সাফা কবির নিজে বরিশালের মেয়ে। তার দাদাবাড়ি বরিশালের গৌরনদী এলাকায় এবং মায়ের বাড়ি বরিশাল সদরে। তবে সাফার জন্ম ও বেড়ে ওঠা রাজধানী ঢাকায়। 


আরও পড়ুন: আমৃত্যু আমার ভিজিট ৩০০ টাকাই থাকবে: ডা. এজাজ


সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বেশ কিছু ছবি শেয়ার করে জানালেন নিজের কিছু অনুভূতির কথা। তিনি বলেন, আমার হৃদয়ের একটা অংশ বরিশালে পড়ে থাকে।


এবার শুটিংয়ের জন্য বরিশালে গিয়ে অন্য রকম এক অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরেছেন বলে জানান সাফা কবির। তিনি লিখেছেন, এইবার গিয়েছিলাম শুটিংয়ের কাজে, কিন্তু সেটা যেন রূপ নিল এক পূর্ণ, মনভরানো সফরে—লঞ্চে পা রাখার মুহূর্ত থেকে শুরু করে বিদায় নেওয়া পর্যন্ত। বরিশাল, তুমি আমার হৃদয় জয় করেছ।


এরপর সাফা লেখেন, প্রতিবার বরিশালে গেলেই একটা গভীর, অজানা টান অনুভব করি—মনে হয়, আত্মার একটা অংশ এই জায়গার সঙ্গে জড়িয়ে আছে। বরিশালে যে শান্তি আমি পাই, তা আর কোথাও পাই না। আবার নতুন করে প্রেমে পড়ে যাই, বরিশালের কাদামাখা রাস্তা, আঁকাবাঁকা নদী, বৃষ্টির পর মাটির গন্ধ, আর অবশ্যই, মুখরোচক খাবার।


আরও পড়ুন: কথার জাদুকর হুমায়ূূন আহমেদের প্রয়াণ দিবস আজ


নাম চূড়ান্ত না হওয়া সেই নাটকের টিমের সবাই বরিশালের। শিল্পী-পরিচালক-ক্যামেরাম্যান থেকে শুরু করে ইউনিটের কেউ না কেউ এই অঞ্চলের।এটা তার কাছে অন্য রকম একটা ভালো লাগার বিষয়।


দুই বছর আগে নিকটাত্মীয়ের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার বরিশাল যাওয়া হয়েছিল। দাদা-দাদি ও নানা-নানির বংশের কেউ এখন আর বরিশালে থাকেন না। তাই এবার বরিশাল গিয়ে অনেক কিছু মিস করেছেন। 


সাফা বলেন, ছোটবেলায় প্রায় প্রতি ঈদে বরিশাল যাওয়া হতো। এর বাইরে বিয়ে কিংবা অন্য কোনো অনুষ্ঠানে আব্বু-আম্মুর সঙ্গে যেতাম। তখন দাদা-দাদি, নানা-নানি ও আত্মীয়স্বজনে ভরপুর থাকত। ঢাকা থেকে বেড়াতে গেলে যে কয়টা দিন থাকতাম, কীভাবে যে পার হয়ে যেত, টেরই পেতাম না। এখন আত্মীয়দের কেউ থাকলে অন্তত শুটিংয়ের ফাঁকে তাদের বাড়িতে বেড়াতে যেতে পারতাম, এই আফসোসটা ছিল অনেক বেশি।


শুটিংয়ের জন্য দেশ ও দেশের বাইরে অনেকবার যাওয়া হলেও বরিশালে একবার শুটিং করেছিলেন বছর পাঁচেক আগে।


এমএল/