‘‌আমার মেয়ের দেহটাও পুড়িয়ে দেয় ধর্ষকরা’


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


‘‌আমার মেয়ের দেহটাও পুড়িয়ে দেয় ধর্ষকরা’

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হাঁসখালি কান্ডে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে রাজ‍্য জুড়ে। ঘটনায় নিন্দায় সরব হয়েছে সর্বত্রই। এর মধ‍্যেই মেয়ের সঙ্গে সংগঠিত নির্যাতন নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন মৃতার বাবা। 

তাঁর অভিযোগ, জন্মদিনের পার্টি থেকে ফেরার পরেই অভিযুক্ত সোহেল ও তার দলবল হুমকি দিতে শুরু করে তাঁদের। মুখ খুললে জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি তাঁর। হাঁসখালি কান্ডের পর কেটে গিয়েছে বেশ কয়েকদিন। ৪ এপ্রিল ঘটনাটি ঘটলেও পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়েছে ১০ এপ্রিল। 

গত সোমবার মুখ‍্যমন্ত্রী মমতা বন্দ‍্যোপাধ‍্যায় হাঁসখালি কান্ডে প্রশ্ন করেছিলেন, মেয়েটি মারা গিয়েছে ৫ তারিখ, পুলিশ জেনেছে ১০ তারিখে। আপনারা বলুন কোনও রকম অভিযোগ থাকলে ৫ তারিখ পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করলেন না কেন? 

বুধবার হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে সেই প্রশ্নের জবাব দিলেন মৃত নাবালিকার বাবা। 

তিনি বলেন, সোহেলের জন্মদিনের পার্টি থেকে ফেরার পরই অসুস্থ হয়ে পড়েছিল নাবালিকা। নির্যাতিতার বাবার অভিযোগ, তাঁর মেয়ে ফেরার পরই সোহেল ওরফে ব্রজগোপাল ও তার দলবল তাঁদের বাড়িতে হাজির হয়। কাউকে কিছু না জানানোর নির্দেশ দেয়। কারও কাছে মুখ খুললে পুড়িয়ে মেরে ফেলার হুমকি ও দেওয়া হয়। স্বাভাবিকভাবেই নাবালিকার পরিবার ভয় পায়। তাঁরা পুলিশে যাওয়ার সাহস দেখাতে পারেনি। এদিকে ভোরে মৃত্যু হয় নাবালিকার। 

মৃতার বাবার দাবি, নাবালিকার মৃত্যুর পর অভিযুক্তরাই হাতে করে দেহ নিয়ে যায় শ্মশানে। দেহদাহ করে দেওয়া হয় পরিবারের কারও উপস্থিতি ছাড়াই। মেয়ের সঙ্গে ঘটে যাওয়া এই মর্মস্পর্শি ঘটনার ব‍্যাখা দিতে গিয়ে অঝরে কান্নায় ভেঙে পড়েন নাবালিকার বাবা। অভিযুক্তদের কঠোরতম শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি।

উল্লেখ্য, ৪ এপ্রিল প্রেমিকের জন্মদিনের পার্টিতে গিয়েছিল নদিয়ার হাঁসখালির নাবালিকা।  রাতে এক মহিলা অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে ফিরিয়ে দিয়ে যায় বাড়িতে। সেই সময় নাবালিকার রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। পরের দিন ভোরে মৃত্যু হয় তাঁর। এরপরেই অভিযোগ ওঠে প্রেমিক সোহেল ধর্ষণ করেছে নাবালিকাকে। যার নির্মম অত‍্যাচারে জেরে মৃত্যু। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্তসহ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এসএ/