গদি রক্ষায় মরিয়া হাসিনার সর্বোচ্চ নিষ্ঠুরতার দিন ৪ আগস্ট
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:১৮ পিএম, ৪ঠা আগস্ট ২০২৫

বাংলাদেশের ইতিহাসে ৪ আগস্ট একটি রক্তাক্ত ও বিভীষিকাময় দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকল। ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া হয়ে সেদিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি দলীয় অস্ত্রধারী ক্যাডারদেরও ছাত্র-জনতার ওপর লেলিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আন্দোলন দমন করতে তারা যেন নিজের দেশের জনগণের বিরুদ্ধেই যুদ্ধে নামে।
সেদিন সকালেই আসে চমকপ্রদ ঘোষণা—৬ আগস্ট নয়, ‘লং মার্চ টু ঢাকা’ হবে ৫ আগস্টেই। ছাত্রনেতা আসিফ মাহমুদের এই ঘোষণায় আন্দোলন আরও বিস্ফোরিত হয়। সাবেক সেনা কর্মকর্তারাও এর সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন।
রাজধানীর প্রবেশপথ, সড়ক, অলিগলি—সব পথ রঞ্জিত হয় তাজা রক্তে। গুলির মুখে প্রাণ হারান শতাধিক আন্দোলনকারী। জনতার ক্ষোভের বলি হন সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার ১৪ পুলিশ সদস্য।
আওয়ামী লীগের সশস্ত্র ক্যাডাররা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সমানতালে গুলি ছোড়ে। রাজপথ রূপ নেয় রণক্ষেত্রে। শহর ছাড়িয়ে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে জেলা-উপজেলাতেও।
পরিস্থিতি সামাল দিতে সন্ধ্যায় ঘোষণা আসে—পরদিন থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ ও ৩ দিনের সাধারণ ছুটি। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ঘোষণাই ছিল সরকারের আতঙ্কের প্রকাশ। কারণ, আন্দোলন থামানোর সব চেষ্টাই তখন ব্যর্থ হয়ে গেছে।
সন্ধ্যার পর সাবেক সেনা কর্মকর্তারা সংবাদ সম্মেলনে সেনাবাহিনীকে ব্যারাকে ফেরার আহ্বান জানান। সেনাবাহিনীও জানিয়ে দেয়, তারা জনগণের বিপক্ষে যাবে না। ফলে ক্রমেই নড়বড়ে হয়ে পড়ে শেখ হাসিনার ক্ষমতার মসনদ।
৪ আগস্ট তাই ইতিহাসে রয়ে গেল শেখ হাসিনার সর্বোচ্চ নিষ্ঠুরতা, ক্ষমতা ধরে রাখার এক কলঙ্কজনক দিন হিসেবে।
আরএক্স/
বিজ্ঞাপন
পাঠকপ্রিয়
আরও পড়ুন

যে জরুরি বার্তা জারি করেছে পুলিশের হেডকোয়ার্টার

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী

চীনের উদ্যোগ নয়, স্বাভাবিক প্রক্রিয়াতেই পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

৩৯ সেবা পেতে বাধ্যতামূলক হলো আয়কর রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ
