চ্যাম্পিয়নস লিগজয়ী পর্তুগিজ কিংবদন্তি জর্জ কস্তা আর নেই


Janobani

ক্রীড়া ডেস্ক

প্রকাশ: ০৩:৪১ পিএম, ৬ই আগস্ট ২০২৫


চ্যাম্পিয়নস লিগজয়ী পর্তুগিজ কিংবদন্তি জর্জ কস্তা আর নেই
পর্তুগিজ কিংবদন্তি জর্জ কস্তা। সংগৃহীত ছবি।

চ্যাম্পিয়নস লিগজয়ী পর্তুগিজ ফুটবল কিংবদন্তি জর্জ কস্তা আর নেই। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মাত্র ৫৩ বছর বয়সে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন সাবেক এই ডিফেন্ডার।


স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) পোর্তোর ট্রেনিং সেন্টারে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালে নেওয়া হলেও শেষরক্ষা হয়নি।


বার্তা সংস্থা এপি জানায়, হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান সাবেক এই ডিফেন্ডার। মৃত্যুর সময় তিনি এফসি পোর্তোর ফুটবল ডিরেক্টরের দায়িত্বে ছিলেন। ফুটবল ক্যারিয়ারে কস্তা ছিলেন এফসি পোর্তোর কিংবদন্তি। ক্লাবটির হয়ে ৩৮৩টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। সবমিলিয়ে তার পেশাদার ক্যারিয়ারে ম্যাচসংখ্যা ৫৩০টি। জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন ৫০টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ।


২০০৪ সালে কস্তার অধিনায়কত্বেই ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের ট্রফি উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতে পোর্তো। আগের বছর, অর্থাৎ ২০০৩ সালে তার নেতৃত্বেই দলটি জিতেছিল উয়েফা কাপ। ক্লাবটির হয়ে তিনি ৮ বার পর্তুগিজ লিগ শিরোপাও জিতেছেন।


জর্জ কস্তার প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করেছে এফসি পোর্তো। এক বিবৃতিতে তারা জানায়, ‘জর্জ কস্তা মাঠের ভেতর ও বাইরে এফসি পোর্তোর মূল্যবোধের প্রতীক ছিলেন। নিষ্ঠা, নেতৃত্ব, আবেগ এবং অদম্য জয়ের মানসিকতা—সবই তিনি ধারণ করতেন। পোর্তোর সমর্থকদের হৃদয়ে তিনি আজীবন বেঁচে থাকবেন।’


২০০৪ সালে কস্তার নেতৃত্বে চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতানো দলের কোচ ছিলেন পর্তুগিজ হোসে মরিনহো। প্রিয় শিষ্যের মৃত্যুর খবরে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন তিনি। বর্তমানে তুর্কি ক্লাব ফেনেরবাচের কোচিংয়ে থাকা মরিনহো সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমি যেন তাকে শুনতে পাচ্ছি—“জনাব, কান্না থামাও। কাল তোমার ম্যাচ আছে এবং ছেলেরা তোমাকে শক্ত দেখতে চায়।’



২০০৬ সালে ফুটবলকে বিদায় জানানোর পর কোচ এবং ম্যানেজার হিসেবে একাধিক ক্লাবের দায়িত্ব পালন করেন কস্তা। ২০২৪ সালে ফুটবল ডিরেক্টর হিসেবে প্রিয় ক্লাব পোর্তোতে ফিরে আসেন।


ক্লাবটির পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, ‘জর্জ কস্তার কীর্তি আমাদের ইতিহাসে চিরভাস্বর হয়ে থাকবে। তুমি কখনোই মুছে যাবে না, নেতা।’


বিশ্ব ফুটবল অঙ্গন হারালো এক সত্যিকারের যোদ্ধাকে—যিনি শুধু একজন খেলোয়াড় ছিলেন না, ছিলেন একটি প্রজন্মের অনুপ্রেরণা।



এসডি/