সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন অটুট রাখতে বিএনপি অঙ্গীকারবদ্ধ: তারেক রহমান
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৩০ এএম, ১৬ই আগস্ট ২০২৫

ধর্মীয় সহিষ্ণুতা বাংলাদেশের সংস্কৃতির অনুষঙ্গ উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, সুপ্রাচীনকাল থেকেই বাংলাদেশিরা কখনোই ঔদার্য, পারস্পরিক শুভেচ্ছাবোধ ও অন্য ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা হারায়নি। এখানে সব ধর্মের মানুষেরা যুগ যুগ ধরে সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে বসবাস করে আসছে। বিএনপি সেই বন্ধন অটুট রাখতে দৃঢ় অঙ্গীকারাবদ্ধ বলে জানান তিনি।
শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে শুক্রবার (১৫ আগস্ট) রাতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বাণীতে এসব কথা বলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
আরও পড়ুন: বাকশালের পরিবর্তে জিয়াউর রহমান গণতন্ত্র এনেছিলেন: নজরুল ইসলাম
বাণীতে হিন্দু ধর্মাবলম্বী ভাই-বোনদের আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানিয়ে তাদের অব্যাহত কল্যাণ, সমৃদ্ধি ও শান্তি কামনা করেন তারেক রহমান।
তিনি বলেন, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মতে জন্মাষ্টমী ভগবান বিষ্ণুর অষ্টম অবতার শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং দুষ্টের বধ করে এই পৃথিবীকে পাপ থেকে মুক্ত করেছিলেন। আবহমানকাল ধরে এই ধর্মীয় উৎসবটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপিত হয়ে আসছে।
তিনি আরও বলেন, উৎসব সর্বজনীন ও সম্প্রদায়গত বিভাজনকে সংযুক্ত করে মানুষকে ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের নিবিড় বন্ধনে আবদ্ধ করে। মানবসমাজকে এক শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করায়। তাদের মধ্যে সৃষ্টি করে এক অনন্য সংহতিবোধ। আনন্দরূপ বিনম্রতায় সমাজে সবাইকে এক অভিন্ন আন্তরিকতায় আপ্লুত করে।
আরও পড়ুন: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ৮১তম জন্মদিন আজ
তারেক রহমান বলেন, সব ধর্মের মর্মবাণী সম্প্রীতি, মানবকল্যাণ ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। যুগে যুগে ধর্ম প্রচারকরা মানুষকে সত্য ও ন্যায়ের পথ দেখিয়ে গিয়েছেন। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ পাপীদের পাপ দূর করার জন্য অনেক মহৎ কাজ করেছেন; তাদের সাথে সম্পর্কিত প্রতিটি ইতিহাস বর্তমানে মানবসমাজের ওপর গভীর প্রভাব বিস্তার করে আছে। তিনি অন্যায়, অনাচার ও দুঃশাসনকে দমন করে পৃথিবীতে ন্যায়, সত্য ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠা করে সমাজে সদাচারী ও নিরপরাধ মানুষদের শান্তি, নিরাপত্তা ও স্বস্তি দান করেছিলেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, গণবিরোধী স্বৈরশক্তি দেশে দেশে মানুষের ওপর নির্যাতন-নিপীড়নের খড়গ নামিয়ে আনে। শ্রীকৃষ্ণের বাণী ও কৃতকর্ম অনুসরণে অত্যাচারীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধের শিক্ষা থেকে অসহায় ও মজলুম মানুষ প্রেরণা লাভ করবে।
এমএল/