ভারতের সঙ্গে নিরপেক্ষ জায়গায় আলোচনায় আগ্রহী পাকিস্তান: ইশহাক দার


Janobani

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ০৫:৫৩ পিএম, ২৩শে আগস্ট ২০২৫


ভারতের সঙ্গে নিরপেক্ষ জায়গায় আলোচনায় আগ্রহী পাকিস্তান: ইশহাক দার
ছবি: সংগৃহীত

ভারতের সঙ্গে নিরপেক্ষ জায়গায় বিস্তারিত আলোচনায় আগ্রহী আছেন পাকিস্তান। এমনটাই জানিয়েছেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইশহাক দার। এ আলোচনায় কাশ্মির এবং অন্যান্য ইস্যুগুলো থাকতে পারে বলে জানান তিনি।


শুক্রবার (২২ আগস্ট) ইসলামাবাদে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এ তথ্য জানান তিনি।


এছাড়া গত মে মাসে পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাত শুরু হলে ভারত এ সংঘাত থামাতে যুক্তরাষ্ট্রের দারস্থ হয় বলে জানান তিনি। যদিও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ অন্যান্যরা দাবি করেছেন, পাকিস্তানের অনুরোধে তারা নিজেরাই সংঘাত থামিয়েছেন। এ বিষয়ে ইশহাক দার বলেন, “যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত ফোনকল আমি যুক্তরাষ্ট্র থেকে পাই।”


আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের সেনা গোয়েন্দা প্রধানকে বরখাস্ত করলেন ট্রাম্প, বড় রদবদল


ইশহাক দার জানিয়েছেন, ভারতের সঙ্গে দ্বন্দ্ব নিরসনে কোনো দেশকে পাকিস্তান মধ্যস্থতার আহ্বান জানায়নি। এর বদলে তাদের একটি নিরপেক্ষ জায়গায় আলোচনার প্রস্তাব দেওয়া হয়। তিনি বলেন, “আমাদের একটি নিরপেক্ষ জায়গায় আলোচনায় বসতে বলা হয়। আমি বলেছি, নিরপেক্ষ জায়গায় হলে আমরা বসতে রাজি। তবে ভারতের সঙ্গে শুধুমাত্র একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। আলোচনা হতে হবে বিস্তারিত। আমরা এটি স্পষ্ট করেছি।”


এছাড়া বাংলাদেশ ও পাকিস্তানকে আরও কাছাকাছি আনার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সফর করবেন বলেও জানান তিনি। শনিবার (২৩ আগস্ট) বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছেন। দুইদিন ঢাকায় অবস্থান করবেন তিনি।


তার এ সফরের মাধ্যমে এক যুগেরও বেশি সময় পর পাকিস্তানের কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায় এলেন। শনিবার দুপুরে ঢাকায় পৌঁছালে ইসহাক দারকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানান পররাষ্ট্রসচিব আসাদ আলম সিয়াম। এ সময় ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার উপস্থিত ছিলেন।


আরও পড়ুন: ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের ব্যর্থতায় ডাচ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ


এ বছরের ২৭ এপ্রিল ইসহাক দারের ঢাকায় আসার কথা ছিল। তবে ভারতের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার প্রেক্ষাপটে পাক-ভারত উত্তেজনা দেখা দিলে দারের সফর স্থগিত করে ইসলামাবাদ।


সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দারের দ্বিপক্ষীয় এই সফরে সম্পর্ক পুনরুজ্জীবনের পাশাপাশি রাজনৈতিক স্তরে ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে গুরুত্ব দেবে ইসলামাবাদ। অন্যদিকে, ঢাকার চাওয়া সম্পর্ক স্বাভাবিক করা। এই সফরে দুই দেশের মধ্যে পাঁচ থেকে ছয়টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সইয়ের কথা রয়েছে। সূত্র: পাকিস্তান অবজারভার।


এমএল/