মোদির চীন সফর: সাংহাই সম্মেলনে কূটনৈতিক নজর দক্ষিণ এশিয়ায়
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯:১৬ পিএম, ২৬শে আগস্ট ২০২৫

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আগামী ২৯ আগস্ট সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (এসসিও) শীর্ষ বৈঠকে যোগ দিতে চিন সফর করবেন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও এ সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন। জানা গেছে, চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং নিজেই এই দুই রাষ্ট্রনেতাকে ব্যক্তিগতভাবে স্বাগত জানাবেন। কূটনৈতিক মহলে এই পদক্ষেপকে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
ভারতের গণমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে, সফরের আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি এখনও পুরোপুরি প্রকাশিত হয়নি। তবে সম্মেলনের ফাঁকে একাধিক দ্বিপাক্ষিক আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষত ভারত–চীন সম্পর্কের সূক্ষ্মতা এবং রাশিয়া–ভারতের ঐতিহ্যবাহী বন্ধুত্ব এই সফরকে গুরুত্ব দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলের বর্বর হামলায় আরও ৮৬ ফিলিস্তিনি নিহত
হিন্দুস্তান টাইমস–এর বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, মার্কিন বাণিজ্য নীতির চাপে ভারত এশিয়ার ভূরাজনীতি ও অর্থনৈতিক ভারসাম্যে বড় ভূমিকা নিতে চাইছে।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী মোদি সফরে সন্ত্রাস দমন, আঞ্চলিক বাণিজ্য, জ্বালানি নিরাপত্তা ও প্রযুক্তি সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করবেন। সম্মেলনের আগে এক বক্তব্যে তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার জনগণের উন্নতি তখনই সম্ভব যখন প্রতিবেশী দেশগুলো একসঙ্গে কাজ করবে। এই উক্তি আঞ্চলিক সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তাকে আরও জোরালো করেছে।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের ৫০% শুল্কে দিশেহারা ভারতীয় ব্যবসায়ীরা
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, মোদির এ সফরের ফলে দক্ষিণ এশিয়া নতুন কূটনৈতিক দৃষ্টিকোণ পেতে পারে। বিশেষ করে এসসিওর মঞ্চ ব্যবহার করে ভারত যদি আঞ্চলিক সমস্যার সমাধানে সক্রিয় হয়, তাহলে তা ভারতের ভূরাজনৈতিক অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে।
আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা, পুতিন–জিনপিং–মোদির একসঙ্গে বৈঠক কেবল কৌশলগত নয়, বরং প্রতীকী বার্তাও বহন করছে। বিশ্ব রাজনীতির অস্থিরতার সময়ে এই সম্মেলন দক্ষিণ এশিয়ার জন্য নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিতে পারে।
এমএল/