বাকৃবিতে উত্তেজনা, শিক্ষার্থীদের ৬ দফা দাবি ও আলটিমেটাম


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১:৩৬ পিএম, ১লা সেপ্টেম্বর ২০২৫


বাকৃবিতে উত্তেজনা, শিক্ষার্থীদের ৬ দফা দাবি ও আলটিমেটাম
ছবি: সংগৃহীত

বহিরাগতদের হামলার ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি)। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন রোববার রাতেই অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করে এবং সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেয়।


যদিও সকাল থেকে ছাত্রীদের অনেকে হল ছেড়ে বাড়ির পথে রওনা হন, ছাত্রদের বড় অংশ হল ত্যাগে অস্বীকৃতি জানায়। সকাল ৯টার দিকে তারা বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে। বিভিন্ন হল থেকে মিছিল এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের কে আর মার্কেট এলাকায় একত্রিত হয় এবং বহিরাগতদের হামলার বিচার ও হল ছাড়ার নির্দেশনার প্রতিবাদে স্লোগান দেয়।


আরও পড়ুন: অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরে অঝরে কাঁদলেন চবি উপ-উপাচার্য


পরে সাড়ে ১১টার দিকে আমতলায় সংবাদ সম্মেলন করে শিক্ষার্থীরা ছয় দফা দাবি উপস্থাপন করে এবং দুপুর ২টার মধ্যে তা বাস্তবায়নের আলটিমেটাম দেয়।


শিক্ষার্থীদের ৬ দফা দাবি:

১. দুপুর ২টার মধ্যে অবৈধভাবে দেওয়া হল ভ্যাকেন্টের নির্দেশ প্রত্যাহার করতে হবে।

২. হলের সব ধরনের সুবিধা স্বাভাবিক রাখতে হবে।

৩. শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় এবং বহিরাগত হামলায় শিক্ষকদের মদদের অভিযোগে প্রক্টরিয়াল বডিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ করতে হবে।

৪. বহিরাগতদের হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ, স্থাপনা ভাঙচুর ও নারী শিক্ষার্থী হেনস্তার ঘটনায় উপাচার্যকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।

৫. বহিরাগত হামলাকারী ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নিতে হবে।

৬. দীর্ঘদিনের দাবির ভিত্তিতে অবিলম্বে একক কম্বাইন্ড ডিগ্রি চালু করতে হবে; তিনটি আলাদা ডিগ্রি গ্রহণযোগ্য নয়।


আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌথ বাহিনী মোতায়েন


উল্লেখ্য, ভেটেরিনারি ও পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে একক কম্বাইন্ড ডিগ্রির দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছে। সম্প্রতি একাডেমিক কাউন্সিল পৃথক ডিগ্রি বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নিলে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এতে ভিসি ও দুই শতাধিক শিক্ষক অবরুদ্ধ হন।


পরে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার সমঝোতার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। সন্ধ্যার পর হঠাৎ বহিরাগতদের হামলায় শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকসহ অনেকে আহত হন। এর পর থেকেই পুরো ক্যাম্পাস উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠে এবং প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের ঘোষণা দেয়।


এএস