বিজয়কে জাতীয় দলের জন্য এখনই প্রস্তুত করা উচিৎ: মাশরাফি


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


বিজয়কে জাতীয় দলের জন্য এখনই প্রস্তুত করা উচিৎ: মাশরাফি

এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) অবিশ্বাস্য ফর্মে আছেন এনামুল হক বিজয়। জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার পর বিজয়ের এমন ফর্ম নজিরবিহীনই বটে। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের এই ব্যাটারকে অনেকেই দেখতে চাইছেন জাতীয় দলে। তাদের মধ্যে আছেন দেশ বরেণ্য অধিনায়ক মাশরাফিও।

হ্যা, দেশীয় ক্রিকেটের কিংবদন্তী, জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও দেশের ইতিহাসের অন্যতম সেরা পেসার মাশরাফি বিন মুর্তজাও মনে করেন, বিজয়কে জাতীয় দলের জন্য এখনই প্রস্তুত করা উচিৎ।

বিজয়ের জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার পেছনে অফ ফর্মের পাশাপাশি টেকনিক্যাল কিছু ত্রুটির কথাও উঠেছিল। মাশরাফি মনে করেন, অসাধারণ ফর্মে থাকা বিজয়কে নিয়ে এখনই কাজ করা উচিৎ। তবে জাতীয় দলে নেয়ার ক্ষেত্রে খানিকটা ধৈর্য ধরার ও আরও সুযোগ দেয়ার পরামর্শ দেশ সেরা অধিনায়কের।

জাতীয় সংসদের এই সদস্য বলেন, ‘ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে সরাসরি জাতীয় দল কেন? এখান থেকেও তো আরেকটা ধাপ থাকে। এরপরও কিন্তু আরেকটা লেভেল আছে। এইচপি দল, এ-দল। কারণ ওই লেভেলটাও তো দেখতে হবে- ঐ লেভেলে গিয়ে ও কেমন করছে। এটা যুক্তিসঙ্গত কথা যে, এখানে ভালো করলে রাডারের নিচে নিয়ে আসা যায়, যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

তবে এ ব্যাপারে মাশরাফির কোনো সন্দেহ নেই যে, জাতীয় দলে ফেরানোর কথা মাথায় রেখে বিজয়কে নিয়ে এখনই কাজ করা উচিৎ, তার বর্তমান ফর্মটাকেই মূল্যায়ন করা উচিৎ। মাশরাফির ভাষায়, ‘বিজয়কে এখনই দেখাশোনা করা উচিৎ। সে যেভাবে রান করে যাচ্ছে, অবিশ্বাস্য! টার্নিং উইকেট হোক, স্লো উইকেট হোক- যেকোনো উইকেটে ও কিন্তু ডমিনেট করে রান করেছে, আমি যতটুক দেখেছি। আজকেও (বৃহস্পতিবার) রান করল। যেকোনো লেভেলের কথাই বলুন, এই ব্যাটিং অসাধারণ। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ অনেক উঁচু মানের টুর্নামেন্ট। ও একটা দলকে যেভাবে টেনে এনেছে, ৮০০‍-রও বেশি রান করেছে। নিশ্চিতভাবে আমি মনে করি, তাকে এখনই জাতীয় দলের আশেপাশে আনা উচিৎ এবং তাকে নিয়ে কাজ করা উচিৎ।’

বিজয়ও যে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে আছেন, তা স্পষ্ট তার ব্যাটিংয়েই। ঘরোয়া ক্রিকেটে ধীর উইকেটের যে গ্লানি বহুদিনের, তা যেন বোঝার উপায় নেই বিজয়কে দেখে। ডিপিএলের রেকর্ড সংখ্যক রান করার পর বিজয়কে আর জাতীয় দলের আশেপাশে না রাখার সুযোগ নেই, অকপটে সেই কথাই বললেন মাশরাফি।

সাবেক এই অধিনায়ক বলেন, ‘তাকে ঐ জিনিসটা বোঝানো উচিৎ- আমরা তোমার ওপর নির্ভর করছি। ভালো করলে জাতীয় দলে কেন নয়? সামনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আছে। ওর তো বিশ্বকাপ খেলারও অভিজ্ঞতা আছে। ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছে, ওর সেঞ্চুরি আছে, ফিফটি আছে। অভিজ্ঞদের কেন নয়? ওকে এখনই দেখভাল করা উচিৎ।’

এদিন দলের বিপর্যয়ের মুখেও ফিফটি তুলে নেন বিজয়। সেঞ্চুরি হাঁকাতে না পারলেও তার ইনিংসটি থামে ৭৩ রানে।

ফলে ১২ ম্যাচে ৮৭৮ রান নিয়ে ডিপিএলের এক মৌসুমে সর্বোচ্চ স্কোরার বনে যান বিজয়। ডিপিএলের ইতিহাসে এক আসরে সর্বোচ্চ রান ছিল সাইফের। ২০১৮-১৯ মৌসুমে প্রাইম দোলেশ্বরের হয়ে ৮১৪ রান করেছিলেন তিনি। 

সাইফ ও বিজয়ের পরেই রয়েছেন আরেক ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম শেখ। ২০১৮-১৯ মৌসুমে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের হয়ে ৮০৭ রান করেন নাঈম।

এসএ/