বরিসের পদত্যাগ চাইছেন দলের নেতারা


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


বরিসের পদত্যাগ চাইছেন দলের নেতারা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: করোনা মহামারী ঠেকাতে লকডাউনের মধ্যে পানাহারের আয়োজন করেছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।

সম্প্রতি ফাঁস হওয়া এক ইমেইলে ওই পার্টির বিষয়টি সামনে আসে। এরপরই জনগণ ও বিরোধী লেবার পার্টি নেতাদের কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। এমনকি তার নিজ দল কনজার্ভেটিভ পার্টির বেশ কয়েকজন সদস্য তার পদত্যাগও দাবি করেছেন। খবর বিবিসি’র।

এর মধ্যে রয়েছেন কনজারভেটিভ পার্টির স্কটল্যান্ডের নেতা ডগলাস রোস, আইনপ্রণেতা উইলিয়াম রেগ, ক্যারোলিন নোকস, রজার গ্যালে প্রমুখ।

প্রধানমন্ত্রী বরিস হাউস অব কমন্সে ক্ষমা চাওয়ার পর তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন রোস। তিনি বলেন, বরিসের সঙ্গে তাঁর ‘শক্ত কথাবার্তা হয়েছে। রোস একই সঙ্গে হাউস অব কমন্সের আইনপ্রণেতা এবং স্কটল্যান্ডের পার্লামেন্টের আইনপ্রণেতা।

রোস বলেন, তিনি ‘১৯২২ কমিটির কাছে লিখবেন, যাতে বরিসের নেতৃত্ব নিয়ে আস্থা ভোটের আয়োজন করা হয়।

রোস আরও বলেন, বরিস জনসন একজন প্রধানমন্ত্রী। এটা তাঁর সরকার, যারা কিনা আইন বাস্তবায়নে কাজ করছে। কিন্তু যে ধরনের কাজ করেছেন, সে জন্য তাঁকে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।

১৯২২ কমিটি মূলত কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্ব নির্বাচনে কাজ করে থাকে। এর আনুষ্ঠানিক নাম কনজারভেটিভ প্রাইভেট মেম্বারস কমিটি। এই কমিটির কাছে যদি দলটির ৫৪ জন আইনপ্রণেতা চিঠি লেখেন, তবে বরিসের নেতৃত্ব চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে।

বরিস জনসন ওই মাদের পার্টির আয়োজন করেছিলেন ২০২০ সালের ২০ মে। ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের বাগানে আয়োজিত যুক্তরাজ্যের শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তাদের ওই আসরে বরিস জনসন ও তাঁর স্ত্রী ক্যারি সিমন্ডস উপস্থিত ছিলেন। অতিথি ছিলেন শতাধিক। ওই সময় যুক্তরাজ্যে কোনো আয়োজনে একসঙ্গে এত মানুষের উপস্থিতি আইনত নিষিদ্ধ ছিল।

উল্লেখ্য, ১৯২২ কমিটি কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্ব নির্বাচন করে থাকে। যদি দলটির ৫৪ জন সংসদ সদস্য ওই কমিটির কাছে চিঠি লেখেন, তবে বরিসের নেতৃত্ব চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে।

২০২০ সালের ২০ মে ওই ড্রিংকস পার্টির আয়োজন করেছিলেন বরিস। ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের বাগানে আয়োজিত ওই পার্টিতে দেশটির শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তাসহ শতাধিক অতিথি উপস্থিত ছিল। বরিস ও তার স্ত্রী ক্যারি সিমন্ডসও সেখানে ছিলেন। যুক্তরাজ্যে ওই সময় একসঙ্গে এত মানুষের উপস্থিতি আইনত নিষিদ্ধ ছিল।

ওআ/