মায়ার্স আমাদের শিক্ষা দিচ্ছে: ডোমিঙ্গো
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
পদ্ম সেতু টেস্ট সিরিজে প্রথম টেস্ট হারের পর দ্বিতীয় টেস্টে সম্মান বাঁচানোর লড়াই করছে বাংলাদেশ। তবে ব্যাটিংয়ে যেমন সুবিধা করতে পারেনি বোলিংয়েও সমান অবস্থায় টাইগাররা। সেন্ট লুসিয়ায় বাংলাদেশের ওপর ছড়ি ঘোরাচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ক্যারিবীয়দের দাপটের সঙ্গে পেরে ওঠেনি টাইগাররা। দল যখন ম্যাচের চাহিদা অনুযায়ী পারফর্ম করতে না পারে, তখন প্রতিপক্ষ তো চড়ে বসবেই। সেন্ট লুসিয়া টেস্টেও বাংলাদেশের জন্য হচ্ছে তাই।
দ্বিতীয় দিন শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের লিড ১০৬ রান। কাইল মায়ার্সের শতকে প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেটে ৩৪০ রান তুলেছে স্বাগতিকরা।
গত বছর বাংলাদেশ সফরে গিয়ে কাইল মায়ার্স যে ইতিহাসটা গড়েছিলেন, এদেশের ক্রিকেটে তাকে সবসময় মনে রাখার জন্য যথেষ্ট ছিল ওটুকুই। টেস্ট অভিষেকেই চতুর্থ ইনিংসে ডাবল সেঞ্চুরি করে বাংলাদেশের মুখ থেকে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিলেন একাই। এখানেই তার বাংলাদেশ-প্রীতি শেষ হয়নি! এবার সেন্ট লুসিয়া টেস্টে আরেকটি অপরাজিত সেঞ্চুরিতে দলকে টেনে তুললেন বিপর্যয় থেকে।
আর এটা নিয়েই ক্ষেদ প্রকাশ করে বাংলাদেশের হেড কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো বলেন, ক্যারিবীয়রা এখন বাংলাদেশ দলকে শাস্তি দিচ্ছে। টাইগারদের ব্যাটিং, বোলিং দুই বিভাগকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি।
দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এই প্রোটিয়া কোচ বলেন, “ওরা আমাদের বিপক্ষে প্রায় ৪০০ রান তাড়া করেছিল চট্টগ্রামে। মায়ার্স ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন সেদিন। অথচ আমরা এ ধরনের ইনিংস পাচ্ছিই না। টেস্ট ক্রিকেট কঠিন। যখন আপনি যতটা দীর্ঘ সময় ব্যাট করা উচিত, ততটা না করছেন, তখন ভালো দল আপনাকে শাস্তি দেবে। যেমনটা এখন আমাদের দিচ্ছে ওরা।”
অ্যান্টিগার পর সেন্ট লুসিয়াতে অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টেও বাংলাদেশের ব্যাটিং, বোলিং নিয়ে অসন্তুষ্ট ডোমিঙ্গো। পারফরম্যান্স নিয়ে তিনি বলেন, “মোটেও ভালো হয়নি। ব্যাটিং ও বোলিং নিয়ে কঠিন প্রশ্ন তোলার আছে। কারণ এটা ২৩০ এর উইকেট না। ওয়েস্ট ইন্ডিজ আমাদের দেখিয়ে দিচ্ছে, কেনো ওরা এই সংস্করণে আমাদের থেকে ভালো দল। ওদের একজন একশ রানে অপরাজিত আছে। ওদের সামনে বড় রান করার সুযোগ আছে। কারণ ওরা জুটি গড়তে সক্ষম হয়েছে, লম্বা সময় ব্যাটিং করেছে। ওরাই দেখাচ্ছে আমাদের কী করা উচিত।”
বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনে মায়ার্সের মতো লম্বা সময় কেউ ব্যাটিং করতে পারছেন না। যা ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দিচ্ছে। বাংলাদেশের হেড কোচ বলেন, “আমাদের দলের অনেক ক্রিকেটার ফর্ম খুঁজে বেড়াচ্ছে, রানের পেছনে ছুটছে। এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার একটাই উপায়, লম্বা সময় ধরে ব্যাটিং করা। অনেকগুলো ৩০/৪০ রানের ইনিংস হচ্ছে। কেউ কেউ ৫০ রান করছে। কাইল মায়ার্স যা করছে সেটা কেউই করছে না। এটাই ২৩০ আর ৪০০ রানের মধ্যে পার্থক্য। আমাদের ওর মতো ১২০ রানের ইনিংস খেলতে হবে।”
এসএ/