আসামে প্রলয়ংকারী বন্যায় ২৫ হাজার ঘর ধ্বংস, নিহত ১৯৫
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
ভারতের আসাম রাজ্যের সাম্প্রতিক বন্যা পরিস্থিতিতে ৩৪টি জেলার ৯,৯৮০টি গ্রামের মোট ৮৯ লক্ষ ২৯ হাজার মানুষ প্লাবিত হয়েছেন। প্রলয়ংকারী এই বন্যায় ২৫ হাজার ৬৭০টি ঘর সম্পূর্ন রুপে বিনষ্ট হয়েছে। এর পাশাপাশি বন্যা ও ভূমিধসের ফলে ১৯৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। বন্যাক্রান্ত ৩৭জন এখনও সন্ধানহীন রয়েছেন। রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে শনিবার দিসপুর জনতা ভবনে এক সাংবাদিক বৈঠক করে এ তথ্য দিয়েছেন আসামরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডঃ হিমন্ত বিশ্বশর্মা।
তিনি আরও জানান, “আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত ঘরের তালিকায় রয়েছে ২ লক্ষ ৭৮ হাজার ২৬০টি পরিবার। রাজ্যে পর পর দুটি বন্যায় সরকারি -বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের আশ্রয় গ্রহন করা মোট বন্যাক্রান্ত লোকের সংখ্যা ৭ লক্ষ ৪২ হাজার ২৫০ জন। নদী তীরবর্তী ও বাঁধ ভেঙে প্লাবিত স্থান থেকে নৌকাযোগে এনডিআরএফ ও এসডিআরএফ বাহিনী উদ্ধার করে মোট ৯৮ হাজার ৫০০ জনকে। তিনি আরও জানান, এবারের বন্যায় কৃষি ও গৃহপালিত পশুর ও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। প্লাবিত হয়েছে মোট ২ লক্ষ ৪০ হাজার ৯৬ হেক্টর কৃষি জমি। পশু মৃত্যুর সংখ্যা ৫৪ হাজার ৮৩৭টি। ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ে এখনও বহুলোক আশ্রয় শিবিরে রয়েছেন। তবে এ পর্যন্ত পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন শিবিরে থাকা পরিবারকে ৩ হাজার ৮০০ টাকা প্রদানের পাশাপাশি বন্যায় বইপত্র নষ্ট হওয়া মোট ১লক্ষ ১ হাজার ৫৩৯ জন পড়ুয়াকে বইপত্র ক্রয় করার জন্য এক হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়েছে।”
শনিবার (১৬ জুলাই) জনতা ভবনে মুখ্যমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে এই অর্থ প্রদান করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল পরিদর্শন করে গৃহহীন ও আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্তলোকদের সরকার সাহায্য করবে। এজন্য আগামী ২০ জুলাই থেকে ১০দিনের জন্য মন্ত্রীরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরির্দশন করবেন।”
শুধুমাত্র ক্ষতিগ্রস্ত ঘরের জন্যই নয়, আগামী ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ভাঙা বাঁধ, সড়ক এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান সংস্কারের জন্য অর্থ মঞ্জুর করা হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী ডঃ হিমন্ত বিশ্বশর্মা এদিন ঘোষনা করেন।
এসএ/