সালাহ-মেন্ডিকে পেছনে ফেলে দ্বিতীয়বারের মতো বর্ষসেরা মানে
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
দ্বিতীয় বারের মতো আফ্রিকা মহাদেশের বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচিত হলেন সেনাগালের তারকা ফরোয়ার্ড সাদিও মানে। শুক্রবার মরোক্কোর রাজধানী রাবাতে তার হাতে তুলে দেয়া হয় সেরার পুরস্কার।
এর আগে ২০১৯ সালে সেরা ফুটবলার নির্বাচিত হন তৎকালীন এই লিভারপুল তারকা। এবার অবশ্য বায়ার্ন মিউনিখের খেলোয়াড় হিসেবে বর্সসেরার মুকুট পরেছেন ৩০ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড। তিন বছরের চুক্তিতে গত মাসে লিভারপুল ছেড়ে বায়ার্ন মিউনিখে পাড়ি জমিয়েছেন মানে।
২০১৯ সালের পর বর্ষসেরা পুরস্কারের দুটি অনুষ্ঠান বাতিল হয়েছে করোনা মহামারির কারণে। তবে এবার ফের সেরা পুরস্কারটি লাভ করলেন মানে। সে দিক থেকে বলতে গেলে টানা দ্বিতীয়বারের মত এ পুরস্কার পেলেন মানে।
সাবেক লিভারপুল সতীর্থ মিশরীয় তারকা মোহাম্মদ সলাহ এবং স্বদেশী আন্তর্জাতিক ও চেলসি গোলরক্ষক এডুয়ার্ড মেন্ডিকে পেছনে ফেলে বর্সসেরার পুরস্কার জয় করেন তিনি।
গত মৌসুমে লিভারপুলের হয়ে প্রিমিয়ার লীগ ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অসাধারণ দক্ষতা দেখিয়েছেন সালাহ-মানে জুটি। ওই মৌসুমে লিভারপুল এফএ কাপ ও ইংলিশ কাপের শিরোপা জয়ের পাশাপাশি রানারআপ হয় ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগে।
পরে সালাহ অ্যানফিল্ডের সঙ্গে নতুন চুক্তিতে স্বাক্ষর করলেও সেই পথে হাঁটেননি মানে। তিনি বায়ার্ন মিউনিখে পাড়ি জমান। গণমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী ৩২ মিলিয়ন ইউরোতে তিনি বায়ার্নে যোগ দিলেও সেটি বেড়ে ৪১ মিলিয়নে পৌঁছাতে পারে।
২০২১-২০২২ আফ্রিকান নেশন্স কাপের ফাইনালে এবং ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের চূড়ান্ত অংশ গ্রহণের যোগ্যতা অর্জনে প্লে অফে সালাহর নেতৃত্বাধীন মিশরকে হারানোর মিশনে সেনেগালের মূল কারিগর ছিলেন মানে। ক্যামেরুনে ও সেনেগালে অনুষ্ঠিত দুটি ম্যাচই ছিল আফ্রিকা মহাদেশের শ্রেষ্ঠত্বের ম্যাচ। দুটি ম্যাচেই টাইব্রেকারে জয়লাভ করে তেরঙ্গা লায়ন্সরা।
দুটি টাইব্রেকারেই মানে লক্ষ্যভেদ করলেও আফ্রিকান নেশন্সের ফাইনালে সালাহ শট নেয়ার আগেই জয়-পরাজয় নির্ধারিত হয়ে যায়। আর বিশ্বকাপের প্লে অফে গোলপোস্টের বাইরে চলে যায় সালাহর শট।
ডাকার থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরে একটি গ্রামে জন্মগ্রহন করা মানে স্থানীয় তৃতীয় বিভাগের ক্লাব জেনারেশন ফুটবলে খেলার সময় ক্লাব কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিতে পড়েন। পরে সালজবুর্গে খ্যাতি ছড়িয়ে পড়লে সাউদাম্পটন তাকে কিনে নেয়। প্রিমিয়ার লিগে অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে মাত্র ১৭৬ সেকেন্ডে হ্যাটট্রিকের বিরল এক রেকর্ড গড়া মানে ২০১৬ সালে লিভারপুলে যোগ দেন।
সাউদাম্পটন থেকে লিভারপুলে যোগ দেয়ার পর অ্যানফিল্ডের বস ইয়ুর্গেন ক্লপ তাকে একজন ‘পরিপূর্ণ ফরোয়ার্ড’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। ওই সময় ক্লপ আরো বলেন, ‘সাদিও মানে সম্পর্কে আমার একটাই সমালোচনা, আর সেটা হচ্ছে- তিনিই সম্ভবত একমাত্র খেলোয়াড়, যিনি অনুধাবন করতে পারছেন না তিনি কতটা বড় মাপের খেলোয়াড়।’
এসএ/