Logo

‘ট্রানজিট গেটওয়ে’ হয়ে উঠছে মোংলা বন্দর

profile picture
নিজস্ব প্রতিবেদক
২ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১৯:০৯
14Shares
‘ট্রানজিট গেটওয়ে’ হয়ে উঠছে মোংলা বন্দর
ছবি: সংগৃহীত

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্রবন্দর মোংলা এখন জাতীয় অর্থনীতির পাশাপাশি আঞ্চলিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান তৈরি করছে। রাজশাহী, রংপুর ও বরিশাল বিভাগের সঙ্গে সড়ক, নদী ও রেলযোগাযোগের উন্নতির ফলে এই বন্দর এখন প্রতিবেশী দেশগুলোর জন্য সম্ভাবনাময় ‘ট্রানজিট গেটওয়ে’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বন্দর অভ্যর্থনা সুবিধা (পিআরএফ) প্রকল্প উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে। এটি চালু হলে জাহাজ থেকে তেল সংগ্রহ ও অপসারণের ক্ষমতা বাড়বে এবং নদী–সমুদ্রের পরিবেশ রক্ষা আরও নিশ্চিত হবে।

দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনৈতিক চালিকাশক্তি হিসেবে পরিচিত এই বন্দর খাদ্যশস্য, সিমেন্ট ক্লিংকার, সার, গাড়ি, যন্ত্রপাতি, কয়লা, এলপিজি এবং বিভিন্ন সামুদ্রিক পণ্য আমদানি–রপ্তানিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

এমপিএ-এর সিনিয়র উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. মাকরুজ্জামান জানান, গত অর্থবছরে মোংলা বন্দর পরিচালনা ও আর্থিক লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি অর্জন করেছে।

বিজ্ঞাপন

সূত্রে জানা যায়, কার্গো হ্যান্ডলিং: লক্ষ্যমাত্রা ৮.৮৮ মিলিয়ন মেট্রিক টন, অর্জন ১০.৪১২ মিলিয়ন মেট্রিক টন (১৭.২৫% বেশি), কনটেইনার হ্যান্ডলিং: লক্ষ্য ২০,০০০ টিইইউ, অর্জন ২১,৪৫৬ টিইইউ, রাজস্ব: লক্ষ্য ৩৩৩.৮৭ কোটি টাকা, অর্জন ৩৪৩.৩০ কোটি টাকা এবং নিট মুনাফা: লক্ষ্য ২০.৪৬ কোটি টাকা, অর্জিত ৬২.১০ কোটি টাকা (বৃদ্ধি ২০৩.৪৯%)।

এ ছাড়া আধুনিক সরঞ্জামে প্রতি ঘণ্টায় ২৪টির বেশি কনটেইনার পরিচালনার সক্ষমতা তৈরি হয়েছে। একই সঙ্গে নিয়মিত ড্রেজিংয়ের ফলে এখন পাঁচটি জেটিতে একই সময়ে পাঁচটি জাহাজ পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে বন্দরটি ৩৫৬টি জাহাজ, ১৩ হাজার ৮৫৪ টিইইউ কনটেইনার, ৪ হাজার ১৩৯টি যানবাহন এবং ৪.৪ মিলিয়ন টনের বেশি পণ্য হ্যান্ডলিং করেছে।

প্রতিবেশী দেশগুলোর ট্রানজিট পণ্য আমদানি–রপ্তানির নতুন সুযোগ তৈরি হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। সক্ষমতা সম্প্রসারণ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে— বছরে ১৫০ মিলিয়ন টন কার্গো এবং ৩৫০–৪০০ লক্ষ টিইইউ কনটেইনার।

বিজ্ঞাপন

পরিচালনা করা সম্ভব হবে। এর ফলে শিপিং এজেন্ট, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট, স্টিভেডরিংসহ শ্রমজীবী মানুষের কর্মসংস্থান বাড়বে।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহীন রহমান জানান, পশুর চ্যানেলে সংরক্ষণ ড্রেজিং প্রকল্প শেষ হলে জেটি এলাকায় ৯.৫–১০ মিটার ড্রাফট পাওয়া যাবে। তখন বছরে ১০০টির বেশি অতিরিক্ত জাহাজ এবং রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র পর্যন্ত আরও ১৩০টির মতো জাহাজ পরিচালনার সুযোগ সৃষ্টি হবে।

তিনি বলেন, মোংলাকে আধুনিক ও বিশ্বমানের বন্দরে উন্নীত করতে একাধিক প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে, পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্যও নতুন উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

জেবি/এএস
Logo

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ

মোঃ শফিকুল ইসলাম ( শফিক )

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ৫৭, ময়মনসিংহ লেন, ২০ লিংক রোড, বাংলামটর, ঢাকা-১০০০।

ফোনঃ 02-44615293

ই-মেইলঃ dailyjanobaninews@gmail.com; dailyjanobaniad@gmail.com

জনবাণী এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। কপিরাইট © ২০২৫

Developed by: AB Infotech LTD