Logo

সাহিত্যিক সুমন বিপ্লবের স্বপ্ন ও ড. মঞ্জুশ্রী একাডেমির জন্ম

profile picture
জনবাণী ডেস্ক
২ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১১:৩৬
3Shares
সাহিত্যিক সুমন বিপ্লবের স্বপ্ন ও ড. মঞ্জুশ্রী একাডেমির জন্ম
ছবি: সংগৃহীত

সুমনের জন্ম বৃত্তান্ত না থাকলেও জন্মলগ্ন থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৫৮ বসন্ত সে পার হয়ে এসেছে।

বিজ্ঞাপন

এ বয়সে টাকার পিছনে কেনা ছুটে অথচ সুমনের টাকার প্রতি কোন লোভ নেই। শুনেছি সাধু দরবেশ ও পাগলদের কাছে টাকার কোন মূল্য নেই।

কারণ তারা সমাজে থেকে অনেক দূরে থাকে। সমাজে কি হচ্ছে এটা নিয়ে কোন মাথা ব্যাথা নেই তাই হয়তোবা তারা এমন কিন্তু সুমন তো এদেরও দলভুক্ত কেউ নয়। কথায় বলে নিজে বাঁচলে বাপের নাম কিন্তু সুমন এক ব্যতিক্রমী চরিত্র।

তার কথায় অন্যকে বাঁচিয়ে নিজের নাম। নিজের ভালো পাগলেও বুঝে কিন্তু সুমন বুঝে না, কি সে তার নিজের ভালো, কোনপথে তার জীবনের উন্নতি তা সে অনেক সময় বুঝতে চেয়েও বুঝেনা।

বিজ্ঞাপন

সুমন নিজের ভালমন্দ উন্নতি অগ্রগতির কথা রেখে সারাক্ষণ দেশ ও জাতির উন্নতির ভাবনা ভাবে। ভাববার বিষয়ে কত বড় বেকুব ও বোকা। দেশ নিয়ে ভাবে বিশেষ বিশেষ জ্ঞানী-গুণী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিত্ব।

অথচ তার মত ক্ষুদ্র প্রাণ ব্যক্তি দেশ ও জাতির জন্য বড় বড় উন্নতি ও অগ্রগতি চিন্তা করে তিলে তিলে শেষ করে দিচ্ছে মানুষেরই মাঝে তার এই স্বল্পকালীন ও ক্ষুদ্রতর মানব জীবনটি। কিন্তু কেউ তার এই নীরিহ ও করুন আবেদনে সাড়া দিচ্ছে না। তার ক্ষুদ্রতম মুখের কথাগুলো কেউ বুঝতে চেষ্টা করছে না।

বিজ্ঞাপন

সাধারণের মাঝেই অসাধারণের বীজ নিহিত আছে। এটা তার দৃঢ় বিশ্বাস। দুনিয়ার বহু অসাধারণ ব্যক্তিত্বের জীবনী সে পড়েছে আর তারই আলোকে সবসময় তার দৃঢ় প্রত্যাশা যে কোন অসাধারণ একটা মহামূল্যবান ব্যক্তিত্ব বেরিয়ে আসতে পারে সামান্য একটা সাধারণ মানুষের মাঝে থেকে কেবলমাত্র প্রাণপণ চেষ্টা ও অধ্যবসায়ের ফলে।

সুমনের সমবয়সী অনেকেই আজ বিয়ে করে পূর্ণ সংসারী এবং যে যার মত করে নিজ নিজে জীবনে কমবেশী প্রতিষ্টিত হয়েছে বা হওয়ার চেষ্টা করছে। অথচ সুমনের কিছুই নেই বা সে আজ পর্যন্ত কিছুই করতে পারেনি বলা যায়। সুমন মুখে বলে এবং মনে মনে ভাবে তার নিজে কোন কিছুর অভাব নেই। বিরাট একটি শুন্যতার মাঝে তার সবকিছুই আছে এবং এই মহাশুন্যতার মাঝে তার বিরাট পূর্ণতা বিরাজিত। সুমন অহরহ দেশ জাতি ও সমাজের অভাবের কথা ভাবে।

বিজ্ঞাপন

এই মাটির অধিকাংশ মানুষ আজ তাদের জীবনের মৌলিক চাহিদাগুলোর অর্ধেকই পূরণ করতে পারছে না। সমস্ত বিশ্ব আজ তিন ভাগে বিভক্ত। এর মধ্যে সবচেয়ে গরীব দেশগুলোকে তৃতীয় বিশ্বের আওতায় রাখা হয়েছে। পৃথিবীর দ্বিতীয় গরীব দেশ হিসেবে ইতিমধ্যে আমাদের বাংলাদেশ পরিচিতি লাভ করেছে। এর মধ্যে ভিক্ষুক, মিছকিন এসব কটি উপাধিও লাভ করেছে এ দেশ।

ভিক্ষা দিলে পূণ্য লাভ করা যায় তাইতো পৃথিবীর ধনী দেশগুলো আমাদের ভিক্ষা দেয়। আর এদিকে আমরাও তাদের এসব দয়ার দান পাওয়ার লোভে হন্য হয়ে তাদের দ্বারস্থ হই এবং প্রায় সব ব্যাপারেই তাদের আনুগত্য ও বশ্যতার মনোভাব নিয়ে দাড়িয়ে থাকি। একটা সুস্থ সবল জাতি হিসাবে এমন হীনমান্যতারও পরনির্ভরশীলতা আমাদের সচেতন মানসিকতায় আঘাত হানতেও পারে কিনা সন্দেহ। এক সময় আমাদের ভারত বর্ষে প্রচুর সম্পদে সমৃদ্ধ ছিল।

বিদেশী বণিকেরা তা তা লুঠে নিয়েছে। তাদের চোর বা লুঠেরা বলতে এমন সাহস কার? মাঝে মধ্যে অপরিসীম অভাবও লোভের বশে দু'একটি বাঙালী এটা ওটা চুরী করি কিন্তু হজম করা কি এতই সহজ? ধরা পড়ে যায়। এতকিছুর পরও বাঙ্গালী পৃথিবীর সমৃদ্ধ দেশের ধনীদের ধন সম্পদ দেখে নিজেরাও ওদের মত ধনকুবের হওয়ার জন্য পাগলা ঘোড়ার মত ওদের পিছু পিছু অন্ধ অনুসরণ করে।

বিজ্ঞাপন

আর তাদের এই পাগলা ঘোড়ার পায়ের নীচে পীষ্ট হচ্ছে মশা ও মাছির মত এ দেশেরই অধিকাংশ সহজ সরল দরিদ্র জনমানুষ। সেদিকে দৃষ্টি নিবন্ধ করে উদার ও মহান দেশ প্রেমিক হওয়ার কথা ভেবে সময় নষ্ট করার মত সময় ওদের নেই। দেশ গোল্লায় যাচ্ছে যাক তাতে ওদের কিছু যায় আসেনা। তারা আছে শুধু তাদের আত্মার প্রতিষ্টা নিয়ে। তাদের তো এদেশে বাড়ি সম্পদ আছে এমনকি বিদেশেও আছে।

সুমন বলে যে দেশ অধিকাংশ লোক দরিদ্র সীমার নীচে অত্যন্ত মানবেতর অবস্থায় বেঁচে আছে সেখানে আমি কেন ঐ সব সামান্য কিছু চোখের জ্বালা লোকগুলোর মত আহামরি বড়লোক হওয়ার মত আত্মঘাতী নীতির অনুসরণ করব ? এত বোকা আমি নই।

বিজ্ঞাপন

ধনুকুরের বড়লোক হতে গিয়ে ঐসব বিষ ইষ্ট বাঙ্গালীরা তাদেরই কারণে যেসব নীরিহ দরিদ্র আত্মাগুলোর করুণ আর্তনাদ অভিশাপ বাংলার আকাশে বাতাসে প্রতিদিন ধ্বনিত হচ্ছে তার সঠিক খতিয়ানের কাছে ইংরেজ নীল কুঠিরদের নিষ্ঠুর শোষণও হার মানবে।

এই বাংলার অনেকেই আছেন যারা উন্নত দেশের তৈরি পোষাক আশাক থেকে শুরু করে দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নত দেশগুলোর লোকদের অনুসরণ করতে এবং সেই মত নিজেকে উন্নত ভাবতে ভীষণ আনন্দ পান। অথচ কেউ কখনও ভাবতে চায় না দেশকে কি করে উন্নত করে গড়ে তোলা যায়।

বিজ্ঞাপন

দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময় পরমাণু বোমার বিধ্বস্ত জাপান আজকের পৃথিবীতে উন্নত দেশগুলোর শীর্ষ তালিকার তার নিজের স্থান করে নিয়েছে যে যাদুমন্ত্রে তা হচ্ছে শিক্ষা, শ্রম আর দেশপ্রেম। আজ থেকে প্রায় ৫০০বছর পূর্বে কলম্বাস যে আমেরিকা মহাদেশ আবিস্কার করেছিলেন তার ফলস্বরূপ আজকের এই আধুনিক বিশ্বের উন্নতর রাষ্ট্র আমেরিকা ছিল না।

এখানে ঠিক একই শক্তি কাজ করছে। তাই সুমনের ধারণা দেশের উন্নতি করতে হলে প্রথমেই শিক্ষার উন্নতি করতে হবে। দুঃখ দারিদ্র হতাশা ক্লেশ মানব জীবনের এই বিষাক্ত ব্যাধি গুলোর অভিশাপ্ত যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতে পারে যে অলৌকিক মন্ত্র তা হচ্ছে শিক্ষা।

বিজ্ঞাপন

আজ বড়ই পরিতাপের বিষয় এই যে আমাদের মত এমন দরিদ্র ও অনুন্নত এই দেশটির শিক্ষাঙ্গনে আজ বিরাজ করছে সৃষ্টি সুখের অমোঘ মরণ সুর সম্বলিত বাদ্যযন্ত্র। বিভিন্ন আগ্নেয়াস্ত্র আর গোলা বারূদ। শিক্ষা এই স্বর্গীয় শান্তি বাণীর ধারক ও বাহক আমাদের এই আলোর দিশারী সোনার সন্তানগুলো আজ যেখানে দেশ ও জাতির উন্নতির স্থাপিত হয়ে শিক্ষা বিস্তারে প্রাণপণ যুদ্ধে লিপ্ত থাকার কথা সেখানে আজ তারা কিছু সংখ্যক রাজনীতিবীদ মুখোশধারী হীনমানসিকতার লোকদের মিথ্যা ধোকাবাজীর শিকার হয়ে রাজনীতির নামে নীতি বর্জিত করে প্রতিহিংসার পথে ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে দেশ ও জাতিকে এক সাংঘাতিক পরিনতির নিয়ে কে ভাববে।

অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিদের ছেলে মেয়েদের সুশিক্ষার জন্য বিদেশের শিক্ষা প্রতিষ্টানগুলোর দ্বারস্থ হতে তাদের একটু কষ্ট হচ্ছেনা। কষ্ট হচ্ছে আমাদের এই সুমনের পোড়া মনে। আমাদের এই সুমন ১৯৮১ সাল থেকে লেখালেখি করে। সময় পেলে সে নানা ধরণের বই পড়ে। বই পড়ে জ্ঞান অর্জন করা যায়। সুমনের বই পড়ার ঐকান্তিক আগ্রহ জ্ঞান অর্জন করে নিজেকে একজন বিশিষ্ট জ্ঞানী হিসাবে প্রতিষ্টিত করা নয়।

সে চায় একান্ত অধ্যয়ন ও অধ্যবসায়ের বলে একদিন সে একজন সচেতন দেশপ্রেমিক ও সমাজ সেবক হিসাবে নিজেকে এই দেশ ও জাতির কল্যাণে সম্পূর্ণ উৎসর্গ করে মানব জনম ধন্য করবে। সুমন বলে পরীক্ষায় নকল করে পাস করে সার্টিফিকেট ধারী মুর্খ সাজা যায়।

বিজ্ঞাপন

কিন্তু জ্ঞান অর্জন করে নিজেকে একটা সচেতন মানুষ রূপে পরিণত করতে অধ্যয়নের কোন বিকল্প নেই। শিক্ষাঙ্গনে বই পড়ার পবিত্র পরিবেশের পরিবর্তে অস্ত্রের খেলা ও নকল প্রবণতা এই অভিশাপের মূল্য উৎপাঠনের মাধ্যমে দেশ ও জাতির নিশ্চিত ধ্বংসের করাল গ্রাস থেকে রক্ষা করার মত মানুষ এখানে অচিরেই আসবে। সুমন এমন স্বপ্ন অহরহ দেখেই চলেছে। এই প্রয়াসেই তার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র টুকিটাকি প্রচেষ্টার অন্ত নেই যেন।

দেশ ও জাতির উন্নতির লক্ষ্যে অনেক কিছুই করতে চায় কিন্তু তার সামর্থ্য সীমিত থাকায় প্রতিটি পদক্ষেপে তাকে প্রচন্ড ধাক্কা খেতে হয় নানা প্রকিকূলতার সাথে। কিন্তু সুমন তার জীবন যা কিছু করতে চায় তার কোন কিছুতেই সে নিরাশ হবার পাত্র নয়।

বিজ্ঞাপন

মানুষের কল্যাণের পূর্ণ শর্ত জ্ঞান অর্জন এবং তার জন্য শিক্ষার প্রসারের মানুষের মাঝে পড়ার প্রতি একটা বিশেষ জাগরণ আনার আশা নিয়ে বিগত ১৯৮৫ সালে সে জাগরণ নামে খুলনা জেলায় একটি পাঠাগার প্রতিষ্টা করে। সুমন বিশ্বাস করে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার শ্রেণীর পাঠ্য বই নির্ধারিত হয়।

শিক্ষাবোর্ডের সুপারিশ পরামর্শও জাতীয় শিক্ষানীতির আলোকে। কিন্তু পাঠাগারে রক্ষিত বইগুলো সাধারণ পাঠকদের জন্য সদা উন্মুক্ত থাকে। তাদের ব্যক্তিগত পছন্দ অপছন্দে ভিত্তিতে নানা ধরনের বই এখানে সংরক্ষিত থাকে। যাতে পাঠক সমাজে তাদের নিজ নিজ পছন্দ ও রুচিসম্মত বই সংগ্রহ করে সম্পূর্ণ স্বাধীন চিন্তা চেতনার মাধ্যমে তা পাঠ করে আত্ম তৃপ্তি ও বাস্তব জ্ঞান গ্রহণ করতে পারে। এলক্ষ্যে কাজ করতে সুমন জাগরণ পাঠাগার প্রায় ৪শ বই সংগ্রহ করেছিল।

কিন্তু দুর্ভাগ্য জনক ভাবে উক্ত পাঠাগারটি দুই মাসের মাথায় হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু সুমনের মনের ইচ্ছে থেমে থাকেনি। সে বুক ভরা আশা নিয়ে ১৯৮৭ সালে বাড়ি ছেড়ে ঢাকায় আসে। কিন্তু লেখালেখি করে ও পাঠাগার প্রতিষ্টায় নানা রকম চেষ্টা করে। কিন্তু সময় ও সুযোগ কোনটাই তার ইচ্ছের অনুকূলে আসেনি দীর্ঘ সাতটি বছর।

এরপর ১৯৯৪ সালের শেষের দিকে সে ঢাকার মায়া ত্যাগ করে একই আশা নিয়ে সিলেটের পূণ্যভূমির দিকে পা বাড়ায়। সিলেটে এসে সুমন প্রথমেই হযরত শাহজালাল (রাঃ) এর মাজারে এসে তার জীবনের ক্ষুদ্র আশা সাফল্যের জন্য এই মহান সাধকের মাজারে কান্নাকাটি করে। এখান থেকে সে মুক্তার আলী নামের এক যুবকের সাথে আকিলপুরে আসে। এখানে প্রথমেই তাকে রাখালের কাজ করতে হতো। গরু নিয়ে মাঠে যেতে হতো।

এমনকি ঐ পরিবারের কাজের লোকে হিসাবে প্রয়োজনীয় বহু কাজ তাকে করতে হতো। আমাদের সুমন এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে সৌভাগ্যমান মনে করেছে এই ভেবে যে সে ইতিপূর্বে বহু বিখ্যাত ও স্মরণীয় ব্যক্তির জীবনী পাঠ করেছে। এমনি অনেক সাধারণ কাজে নিজেকে নিয়োজিত করে শুধু জীবনের মহান ইচ্ছে ও কঠিন অধ্যবসায়ের বলে পৃথিবীতে চির স্মরণীয় হয় আছেন। সুমন এখানে কাজের ফাকে ফাকে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াতে শুরু করে।

আগুন যদি কাঠের নিচে পরে জলতে জলতে এক সময় তার লেলিহান শিখা নিয়ে অনেক ওপরে উঠতে পারে। তবে সে কেন ওঠতে পারবে না। তার অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌছাতে সুমন তার দীপ্ত মনোবল নিয়ে এগুতে থাকে। গ্রামে কিছু লেখাপড়া জানা লোকের সাথে যোগাযোগ করে। মাধ্যমিক স্থরে শিক্ষার্থী যুব ব্যক্তির সাথে মতবিনিময় করে।

তারপর ১৯৯৫ সালে সম্পূর্ণ তারই নিজস্ব উদ্যোগে সিলেট জেলার বিশ্বনাথ উপজেলার আকিলপুর গ্রামে পাঁচটি বই নিয়ে ড. মঞ্জুশ্রী একাডেমির কার্যক্রম শুরু করে। বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ ড. মঞ্জুশ্রী চৌধুরী ছিলেন সুমন বিপ্লবের সাহিত্য গুরু।

আখলাক হোসেন

উপদেষ্টা, ড. মঞ্জুশ্রী একাডেমী

আকিলপুর, বিশ্বনাথ, সিলেট।

জেবি/এসএ
Logo

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ

মোঃ শফিকুল ইসলাম ( শফিক )

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ৫৭, ময়মনসিংহ লেন, ২০ লিংক রোড, বাংলামটর, ঢাকা-১০০০।

ফোনঃ 02-44615293

ই-মেইলঃ dailyjanobaninews@gmail.com; dailyjanobaniad@gmail.com

জনবাণী এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। কপিরাইট © ২০২৫

Developed by: AB Infotech LTD