আবারও পূর্ণদিবস কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন প্রাথমিকের শিক্ষকরা

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা আগামীকাল মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) থেকে আবারও পূর্ণদিবস কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন। দশম গ্রেডসহ তিনদফা দাবি আদায়ে দীর্ঘদিনের আন্দোলনের পরও দৃশ্যমান অগ্রগতি না হওয়ায় তারা এ কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষকদের ১১টি সংগঠনের মোর্চা ‘প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ’ এ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে। সোমবার (২৪ নভেম্বর) সংগঠনের যুগ্ম-আহ্বায়ক সাবেরা বেগমের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
জানতে চাইলে সাবেরা বেগম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘রবি ও সোমবার আমরা দুদিন অর্ধদিবস কর্মবিরতি করেছি। এবার পূর্ণদিবস কর্মবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে। আমাদের এ কর্মসূচিতে প্রাথমিক শিক্ষকদের ১১টি সংগঠন একাত্মতা প্রকাশ করেছেন।’
এদিকে ২১ নভেম্বর ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’ নামে একটি সংগঠন ৩০ নভেম্বর থেকে কর্মবিরতি ঘোষণা করেছেন। তাহলে শিক্ষকরা কাদের ঘোষণা মানবেন, এ নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: ভূমিকম্প নিয়ে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চিঠি
এ প্রসঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক সাবেরা বেগম বলেন, ‘শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছে। প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের কর্মসূচিতে আমাদের পক্ষ থেকেও একাত্মতা জানানো হয়েছিল। আমাদের সবার দাবি এক। ফলে এখানে বিভ্রান্তির সুযোগ নেই। আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে কর্মবিরতি পালন করা হবে।’
অন্যদিকে ও রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক শাহীনূর আকতার বলেন, ‘৩ দফা দাবিতে সহকারী শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন। সরকারের পক্ষ থেকে দাবিগুলো দ্রুত বাস্তবায়নে আশ্বাস দেওয়া হলেও দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি না থাকায় কর্মসূচি জোরদার করতে আমরা বাধ্য হয়েছি।’
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, ‘১ নভেম্বর আমরা সংবাদ সম্মেলন করে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিলাম। কিন্তু এরমধ্যে সরকারের কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। তাই সারাদেশের সহকারী শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান— ন্যায্য তিন দফা দাবি আদায়ে কর্মসূচি সফল করুন।’
আরও পড়ুন: ঢাকা মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা
সংগঠনের ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, দাবি পূরণ না হলে বার্ষিক পরীক্ষা বর্জনসহ আগামী ১১ ডিসেম্বর থেকে লাগাতার অনশন শুরু করবেন সহকারী শিক্ষকরা।
বিজ্ঞাপন
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের তিনদফা দাবিগুলো হলো, দশম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ, ১০ বছর ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড সমস্যার সমাধান ও শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি।
এদিকে আগামী ৮ ডিসেম্বর থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় প্রান্তিক বা বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা। তার আগে শিক্ষকদের কর্মবিরতি ঘোষণায় বার্ষিক পরীক্ষা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। একইসঙ্গে পরীক্ষার আগমুহূর্তে প্রায় এক কোটি কোমলমতি শিক্ষার্থীর ক্লাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।








