এবার হজযাত্রীদের জন্য সুখবর দিলো সৌদি সরকার

আসন্ন হজ মৌসুমে এসব ভবনে প্রায় ১২ লাখ হজযাত্রী থাকতে পারবেন
বিজ্ঞাপন
হজযাত্রীদের জন্য ভিসা ইস্যুর কার্যক্রম শুরু করেছে সৌদি আরব। শুক্রবার (১ মার্চ) থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে, যা আগামী ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত চলমান থাকবে। আগামী ৯ মে থেকে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের হজযাত্রীরা পবিত্র হজের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবের উদ্দেশ্য যাত্রা শুরু করবেন।
এদিকে অতীত সময়ে আগত হাজিদের বাসস্থান নিয়ে নানাবিধ অভিযোগ থাকায়, সেই সংকট সমাধানের জণ্য সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ মানের সেবা দিতে নতুন কিছু কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এবার বিভিন্ন দেশ থেকে আগত হজযাত্রীদের থাকার জন্য মক্কায় ১ হাজার ৮৬০টি আবাসিক ভবনকে লাইসেন্স দিয়েছে সৌদির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়। আসন্ন হজ মৌসুমে এসব ভবনে প্রায় ১২ লাখ হজযাত্রী থাকতে পারবেন। এই খবর গালফ নিউজের।
বিজ্ঞাপন
গালফ নিউজের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, আগামী ৮ মে পর্যন্ত বিভিন্ন ভবনের মালিকদের কাছ থেকে আরও লাইসেন্স আবেদন গ্রহণ করা হবে। এতে চলতি বছর মক্কায় হজযাত্রীদের থাকার জন্য অনুমোদিত আবাসিক ভবনের সংখ্যা পাঁচ হাজারের বেশি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
এবারের হজ মৌসুমে নতুন কিছু নিয়ম ঘোষণা করেছেন সৌদি আরব। সৌদি আরবের পবিত্র স্থানে আগের মতো দেশভিত্তিক নির্দিষ্ট জায়গা বরাদ্দ দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন দেশটির হজবিষয়ক মন্ত্রী তৌফিক আল রাবিয়াহ।
বিজ্ঞাপন
এর আগে, এবারের হজ মৌসুমে অনুমতি ছাড়া হজ পালন থেকে বিরত থাকতে পর্যটক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভয়াবহ দাবানলে জ্বলছে টেক্সাস
বিজ্ঞাপন
দেশটির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অনুমতি ছাড়া হজ পালন করলে ৫০ হাজার সৌদি রিয়াল জরিমানা গুনতে হবে, আর যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১৫ লাখ। এ ছাড়াও যারা অনুমতিবিহীন ব্যক্তিদের মক্কায় পরিবহন করে ধরা পড়বে, তাদেরকেও একই পরিমাণ টাকা জরিমানা গুনতে হবে।
বিজ্ঞাপন
দেশটির মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, যে সব প্রবাসী এই আইন লঙ্ঘন করবেন, তাকে প্রথমে ছয়মাস কারাবাস দেওয়া হবে। কারাভোগ শেষ হলে তাকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে। এমনকি পরবর্তী ১০ বছরের জন্য সৌদিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারী করা হবে। স্থানীয় গণমাধ্যমে আইন ভঙ্গকারীদের সমস্ত পরিচয় প্রকাশ করা হবে, যাতে সবাই তাদেরকে চিনতে পারে।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে এ বছর পবিত্র হজের মূল কার্যক্রম আগামী জুনের ১৪ তারিখে হতে পারে। এবছরে বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ হজযাত্রীর হজের কোটা থাকলেও এখন পর্যন্ত নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন ৮৩ হাজার ১৫৫ জন হজ প্রত্যাশী।
বিজ্ঞাপন
এমএল/
বিজ্ঞাপন