মার্কিন ভিসা নিয়ে দুঃসংবাদ জানাল ট্রাম্প প্রশাসন

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় ফেরার পর থেকে একের পর এক অভিবাসনবিরোধী পদক্ষেপ নিচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার তার সিদ্ধান্তের আঘাত পড়ল এইচ-ওয়ান বি ভিসা কর্মসূচির ওপর। এইচ-ওয়ান বি ভিসার ফি আকাশছোঁয়া, ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন সিদ্ধান্তে চাপে অভিবাসীরা।
বিজ্ঞাপন
আগে যেখানে প্রতি বছর ভিসা বাবদ ফি দিতে হতো মাত্র ১ হাজার ৫০০ ডলার, সেখানে এক লাফে তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ১ লাখ ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ টাকা (১ ডলার = ১২০ টাকা ধরে)।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ওয়াশিংটনে এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞাপন
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স জানায়, ট্রাম্পের “আমেরিকা ফার্স্ট” নীতির অংশ হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মূল উদ্দেশ্য- অভিবাসী কর্মীদের সীমিত করা এবং মার্কিন নাগরিকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ানো।
২০০৪ সালে চালু হওয়া এইচ-ওয়ান বি ভিসা প্রোগ্রামের আওতায় প্রতিবছর প্রায় ৮৫ হাজার দক্ষ বিদেশি কর্মীকে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়োগের অনুমতি দেওয়া হয়। বিশেষ করে বিজ্ঞান, তথ্যপ্রযুক্তি, প্রকৌশল এবং ব্যবসায় প্রশাসনে পারদর্শী পেশাজীবীরা এই ভিসার মাধ্যমে আমেরিকায় চাকরির সুযোগ পান।
যুক্তরাষ্ট্রের পরিসংখ্যান দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, অ্যামাজন, মাইক্রোসফট, মেটা, অ্যাপল ও গুগলের মতো বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো এ কর্মসূচির সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী। বর্তমানে এসব প্রতিষ্ঠানে শত শত বিদেশি কর্মী কাজ করছেন।
বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ তথ্য বলছে, ২০০০ সালের তুলনায় ২০১৯ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতের কর্মীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৪৪.৫ শতাংশ। তাদের বেশিরভাগই ভারত ও চীন থেকে এসেছেন।
হাওয়ার্ড লুটনিক বলেন, “প্রতি বছর বিদেশ থেকে লাখ লাখ কর্মীকে আনার প্রবণতা বড় বড় কোম্পানির মধ্যে বাড়ছে। আমরা চাই তারা যেন মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করা শিক্ষার্থীদের নিয়োগ করে বা স্থানীয় নাগরিকদের প্রশিক্ষিত করে। বাইরের লোকজনকে আর আমাদের চাকরি নিতে দেওয়া হবে না।”
বিজ্ঞাপন
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই সিদ্ধান্তের ফলে মার্কিন কোম্পানিগুলো দক্ষ বিদেশি কর্মী নিয়োগে নিরুৎসাহিত হবে এবং সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন ভারতীয়, চীনা ও বাংলাদেশি পেশাজীবীরা।