ফিলিস্তিনের স্বীকৃতি নিয়ে ক্ষোভে ট্রাম্প-নেতানিয়াহু

দীর্ঘ দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন চলার পর অবশেষে পশ্চিমা বিশ্বের কয়েকটি প্রভাবশালী দেশ ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
বিজ্ঞাপন
ঐতিহাসিক এ সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও তার ঘনিষ্ঠ মিত্র মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া এবং পরে পর্তুগাল আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়। বিশেষ করে ইসরায়েল রাষ্ট্র সৃষ্টির অন্যতম কারিগর যুক্তরাজ্যের এ সিদ্ধান্তকে প্রতীকী মাইলফলক হিসেবেই দেখা হচ্ছে। এরপরেই ক্ষোভ উগড়ে দেন নেতানিয়াহু ও ট্রাম্প।
মার্কিন গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান ও টাইমস অব ইসরায়েল-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্প এ পদক্ষেপকে “নাটকীয় প্রদর্শনী” আখ্যা দেন। তিনি বলেন, “আমাদের মনোযোগ কেবল বাস্তব কূটনীতিতে, নাটকীয় পদক্ষেপে নয়। অগ্রাধিকার হচ্ছে জিম্মিদের মুক্তি, ইসরায়েলের নিরাপত্তা এবং আঞ্চলিক শান্তি।” একইসঙ্গে তিনি হামাসকেই মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার জন্য দায়ী করেন।
বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে মার্কিন রিপাবলিকান নেতারাও তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। ২৫ জন আইনপ্রণেতা মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওকে চিঠি দিয়ে এই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানান। এমনকি অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সিনেটর টেড ক্রুজসহ কয়েকজন প্রভাবশালী নেতা।
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে দেশে ফিরে কঠোর জবাব দেওয়ার ঘোষণা দেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, “জর্ডান নদীর পশ্চিমে কোনো ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হবে না।” একইসঙ্গে মিত্রদের প্রতি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গভির আরও এক ধাপ এগিয়ে পশ্চিম তীরকে ইসরায়েলের সঙ্গে একীভূত করার আহ্বান জানান এবং আগামী মন্ত্রিসভায় এ বিষয়ে প্রস্তাব দেওয়ার ঘোষণা দেন।
বিজ্ঞাপন
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বলেন, “মধ্যপ্রাচ্যের বিভীষিকার মধ্যে শান্তি এবং দুই-রাষ্ট্র সমাধানের সম্ভাবনাকে টিকিয়ে রাখতে আমরা কাজ করছি।” কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি প্রতিশ্রুতি দেন, ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল—উভয় পক্ষের জন্য শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে কানাডা কাজ করবে।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের চলতি অধিবেশনে ফ্রান্স, বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ, মাল্টা, অ্যান্ডোরা ও সান মারিনোর মতো দেশগুলোও ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এমনটা হলে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল আরও বেশি কূটনৈতিক চাপে পড়বে।
বর্তমানে জাতিসংঘের তিন-চতুর্থাংশ সদস্যরাষ্ট্র ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে। গত বছর আয়ারল্যান্ড, স্পেন ও নরওয়ে এই তালি