ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে অনুপ্রবেশে আবারও শীর্ষে বাংলাদেশিরা

অবৈধ পথে ইউরোপে প্রবেশের সংখ্যা সামগ্রিকভাবে কমলেও, মধ্য ভূমধ্যসাগরীয় রুটে সবচেয়ে বেশি অনুপ্রবেশ ঘটছে বাংলাদেশের নাগরিকদের মাধ্যমে।
বিজ্ঞাপন
ইউরোপীয় সীমান্ত ও উপকূলরক্ষী সংস্থা ফ্রনটেক্সের সর্বশেষ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ রুট ব্যবহার করে ৫০ হাজার ৮৫০ জন বাংলাদেশি ইউরোপে প্রবেশ করেছেন। যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ২ শতাংশ বেশি।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলায় ২৩ নিহত
ফ্রনটেক্সের তথ্যমতে, চলতি বছরের একই সময়ে ইউরোপে অবৈধভাবে প্রবেশ করেছেন মোট ১ লাখ ৩৩ হাজার ৪০০ জন, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ২২ শতাংশ কম। সংস্থাটি জানায়, সীমান্তে নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণ জোরদার করার ফলে অবৈধ অনুপ্রবেশ কিছুটা কমলেও মধ্য ভূমধ্যসাগরীয় রুট এখনো ইউরোপে প্রবেশের সবচেয়ে সক্রিয় পথ হিসেবে রয়ে গেছে।
বিজ্ঞাপন
শুধু সেপ্টেম্বর মাসেই এই রুট দিয়ে ৮ হাজার ৪৬ জন অভিবাসী ইউরোপে প্রবেশ করেছেন। সামগ্রিক হিসাবে ইউরোপে অবৈধভাবে প্রবেশকারীদের ৪০ শতাংশেরও বেশি ইতালিতে পৌঁছেছেন এই রুটের মাধ্যমে।
এ বছর অবৈধ পথে ইউরোপে প্রবেশে বাংলাদেশি, মিসরীয় ও আফগান নাগরিকরাই শীর্ষ তিন অবস্থানে আছেন।
অন্যদিকে, পশ্চিম আফ্রিকান, পশ্চিম বলকান, পূর্ব ইউরোপ ও পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় রুটে অনুপ্রবেশ যথাক্রমে ৫৮, ৪৭, ৩৬ ও ২২ শতাংশ হ্রাস পেলেও, পশ্চিম ভূমধ্যসাগরীয় রুটে অনিয়মিত প্রবেশ বেড়েছে প্রায় ২৮ শতাংশ। এর বেশিরভাগই আলজেরিয়া থেকে যাত্রা করা অভিবাসী বলে ফ্রনটেক্স জানিয়েছে।
বিজ্ঞাপন
অবৈধ অভিবাসনের এই প্রবণতার মাঝেই আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) জানিয়েছে, চলতি বছর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে কমপক্ষে ১ হাজার ২৯৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা এখনো মানবিক বিপর্যয়ের ভয়াবহ দিকটি স্পষ্ট করে।
এদিকে, ফ্রনটেক্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফ্রান্স হয়ে ইংলিশ চ্যানেল দিয়ে যুক্তরাজ্যে প্রবেশের চেষ্টা গত বছরের তুলনায় ১৪ শতাংশ বেড়েছে। এ বছর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রায় ৫৪ হাজার ৩০০ জন যুক্তরাজ্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছেন।
বিজ্ঞাপন
বিশ্লেষকদের মতে, ইউরোপীয় সীমান্তে কঠোর নজরদারি ও আফ্রিকার কয়েকটি দেশের সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধির কারণে পাচারকারীরা নতুন রুট ও কৌশল ব্যবহার করছে, যা অভিবাসীদের জন্য ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে তুলছে।