সুদানে আরএসএফের ড্রোন হামলায় নিহত অন্তত ৩০

আফ্রিকার যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ সুদানে নতুন করে রক্তপাত ঘটেছে। পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর এল-ফাশারে বাস্তুচ্যুতদের এক আশ্রয়কেন্দ্রে আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)-এর পরিচালিত ড্রোন হামলায় অন্তত ৩০ জন নিহত হয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
শনিবার (১১ অক্টোবর) এই হামলায় আরও বহু মানুষ আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় মানবাধিকার সংগঠনগুলো।
এল-ফাশার প্রতিরোধ কমিটি জানায়, শহরের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে স্থাপিত দার আল-আরকাম আশ্রয়কেন্দ্রকে লক্ষ্য করেই হামলা চালানো হয়। তাদের দাবি, অনেক মরদেহ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে। এই হামলাকে তারা ‘গণহত্যা’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলায় ২৩ নিহত
বিজ্ঞাপন
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের এপ্রিলে সুদানের সেনাবাহিনী ও আরএসএফের মধ্যে সংঘাত শুরুর পর থেকে দেশটিতে ১০ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে, আর লাখো মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। একই সঙ্গে প্রায় আড়াই কোটি নাগরিক ভয়াবহ খাদ্যসংকটে ভুগছেন।
দারফুর অঞ্চলের শেষ প্রাদেশিক রাজধানী এল-ফাশার এখন সংঘাতের কৌশলগত কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। আরএসএফ সেখানে পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে। স্থানীয় মানবাধিকারকর্মীদের ভাষায়, শহরটি এখন “ক্ষুধার্ত বেসামরিকদের উন্মুক্ত কবরস্থানে” পরিণত হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
অবরোধের কারণে শহরের প্রায় ৪ লাখ মানুষের জন্য খাদ্য, ওষুধ ও জ্বালানি—সবই সংকটাপন্ন। এক সময় যেসব পরিবার পশুখাদ্যের ওপর নির্ভর করে বেঁচে ছিল, এখন সেটিও নাগালের বাইরে চলে গেছে। এক বস্তা পশুখাদ্যের দাম এখন কয়েক শ মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে। স্থানীয় সূত্র বলছে, খাবারের অভাবে বেশিরভাগ স্যুপ কিচেন বন্ধ হয়ে গেছে।
সূত্র: এএফপি