এখন গাজাকে নতুনভাবে গড়ে তোলার সময়: ট্রাম্প

দুই বছরের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর অবশেষে শান্তির আলোর দেখা পেয়েছে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা। এবার ধ্বংসস্তূপে পরিণত এই ভূখণ্ডকে পুনর্গঠনের সময় এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বিজ্ঞাপন
রবিবার (১২ অক্টোবর) মিসরের পর্যটন শহর শারম আল শেখে অনুষ্ঠিত ‘গাজা শান্তি সম্মেলনে’ তিনি এ কথা বলেন। যুক্তরাষ্ট্র ও মিসরের যৌথ আয়োজনে আয়োজিত এই সম্মেলনে বিশ্বের প্রায় ২০টি দেশের শীর্ষ নেতা অংশ নেন। উপস্থিত ছিলেন মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রেডরিক ম্যাৎর্স, জর্ডানের রাজা আবদুল্লাহ দ্বিতীয় ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান।
ট্রাম্প বলেন, “আজ আমরা ইতিহাসের নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করছি। দীর্ঘ ও ভয়াবহ যুদ্ধের অবসান ঘটেছে। ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিন— দুই পক্ষের জন্যই এই যুদ্ধবিরতি এক নতুন সূচনা। এই সমঝোতায় পৌঁছাতে যে শ্রম দিতে হয়েছে, তা ছিল এক কঠিন ও দীর্ঘ প্রক্রিয়া।”
আরও পড়ুন: ‘আমরা কসাইখানায় ছিলাম, কারাগারে না’
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও যোগ করেন, “এখন সময় এসেছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজাকে পুনর্গঠন ও উন্নয়নের পথে নিয়ে যাওয়ার। আশা করছি, অচিরেই পুনর্গঠনের কাজ শুরু হবে এবং গাজা আবারও জীবনের স্পন্দনে ফিরবে।”
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের আকস্মিক হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয়। এর প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় ব্যাপক সামরিক অভিযান চালায়, যা টানা দুই বছর ধরে চলে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, এই সংঘাতে ৬৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারান এবং প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার আহত হন।
যুদ্ধ চলাকালে একাধিকবার যুদ্ধবিরতির উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা স্থায়ী হয়নি। অবশেষে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ট্রাম্পের প্রস্তাবিত নতুন শান্তি চুক্তিতে উভয় পক্ষ রাজি হয়।
বিজ্ঞাপন
চুক্তি অনুযায়ী, ১০ অক্টোবর থেকে গাজায় পূর্ণ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। তিন দিন পর হামাস তাদের হাতে থাকা অবশিষ্ট ২০ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেয়, বিনিময়ে ইসরায়েল প্রায় ৩ হাজার ৭০০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে ছেড়ে দেয়।
এই ঐতিহাসিক বন্দি বিনিময়ের পরই অনুষ্ঠিত হয় ‘গাজা শান্তি সম্মেলন’, যা দিয়ে শুরু হয় গাজার পুনর্গঠনের নতুন অধ্যায়।
বিজ্ঞাপন
সূত্র: বিবিসি