গাজায় ত্রাণ প্রবেশে সীমাবদ্ধতা বাতিল করল ইসরায়েল

গাজায় খাদ্য ও ত্রাণসামগ্রীর প্রবেশে আর কোনো সীমাবদ্ধতা থাকছে না— এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েলের সরকার। হামাসের পক্ষ থেকে মৃত ইসরায়েলি জিম্মিদের মরদেহ ফেরতের প্রতিশ্রুতি পাওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
বুধবার (১৫ অক্টোবর) ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল এ তথ্য প্রকাশ করে।
অন্যদিকে, দেশটির সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম কান পাবলিক ব্রডকাস্টার জানিয়েছে, কাতার ও মিসরের মাধ্যমে হামাস ইসরায়েলকে আশ্বস্ত করেছে যে জিম্মিদের মরদেহ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে। এই নিশ্চয়তার পরই ত্রাণ প্রবেশ সীমিত রাখার পরিকল্পনা থেকে সরে আসে তেল আবিব।
বিজ্ঞাপন
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত হন এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায় হামাস। দীর্ঘ যুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় গত ১০ অক্টোবর গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। এই বিরতির শর্ত হিসেবে হামাসকে জীবিত ২০ জিম্মি ও মৃত ২৮ জনের মরদেহ ফেরত দিতে বলা হয়েছিল।
যুদ্ধবিরতির তৃতীয় দিনে হামাস ২০ জীবিত জিম্মিকে মুক্তি দেয় এবং ৪ জনের মরদেহ হস্তান্তর করে। এর পরেও বেশ কয়েকজনের মরদেহ ফেরত না আসায় ক্ষোভে গাজা-মিসর সীমান্তের রাফা ক্রসিং বন্ধ রাখার এবং ত্রাণ প্রবেশ সীমিত করার সিদ্ধান্ত নেয় ইসরায়েল।
বিজ্ঞাপন
তবে পরবর্তীতে হামাস জানায়, কিছু জিম্মির মরদেহের অবস্থান অজানা রয়ে গেছে; কারণ যুদ্ধের সময় দায়িত্বপ্রাপ্তদের অনেকে নিহত হয়েছেন এবং কিছু এলাকা ধ্বংস হয়ে গেছে। মধ্যস্থতাকারীদের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, আজ বুধবার আরও চারটি মরদেহ ফেরত দেবে হামাস।
এই প্রতিশ্রুতির পরই ইসরায়েলি মন্ত্রিসভা ত্রাণ প্রবেশে বাধা তুলে নেওয়ার ঘোষণা দেয়।
সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল