ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীকে অস্ত্র সমর্পণ করতেই হবে : ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী আন্দোলন হামাস যদি স্বেচ্ছায় তাদের অস্ত্র জমা না করে, তাহলে আমেরিকা তাদের নিরস্ত্রীকরণে কৌশলগত পদক্ষেপ নেবে — এবং তা হতে পারে তীব্র ও দ্রুত। হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
ট্রাম্প জানান, তিনি হামাস নেতাদের কাছে অস্ত্র শিথিল করার অনুরোধ করেছেন। পরে স্পষ্ট করেন যে তাঁর সরাসরি যোগাযোগ হয়নি — ট্রাম্প প্রশাসনের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ও জামাতা জ্যারেড কুশনার মধ্যস্থতায় কথা হয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা তাদের বলেছি অস্ত্র সরাতে এবং তারা তা করবে; না হলে আমরা তাদের নিরস্ত্রীক করব।”
প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, নিরস্ত্রীকরণে যেভাবে পদক্ষেপ নেওয়া হবে তা তিনি বিস্তারিতভাবে প্রকাশ করছেন না, তবে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন যে প্রশাসন এ বিষয়ে কঠোর অবস্থান নিতে প্রস্তুত। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, “আমি আপনাকে সব কিছুর বিবরণ দিতে বাধ্য নই…তারা জানে যে আমি খেলছি না।”
বিজ্ঞাপন
পটভূমি হিসেবে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয় যে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের এক অভিজাত আক্রমণে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ঢুকেছিল প্রায় ১ হাজার যোদ্ধা; ঘটনায় অনেকে নিহত হন এবং বহু নাগরিককে জিম্মি নেওয়া হয়। এর জবাবে ইসরায়েল তখন গাজায় বৃহৎ সামরিক অভিযান শুরু করে; দুই বছরের মতো চলা সংঘর্ষে গাজার বহু নাগরিক নিহত ও আহত হয়েছে—সংখ্যাগুলি বড় এবং মানবিক ক্ষতি ব্যাপক।
ট্রাম্পের ২০ পয়েন্টের শান্তি প্রস্তাবের অন্যতম প্রধান ধারা ছিল হামাসের অস্ত্রসমর্পণ; এর আগে বারবার এই আহ্বান করা হলেও হামাস তা প্রত্যাখ্যান করেছে বা সটিক প্রতিক্রিয়া দেয়নি। সর্বশেষ বিবৃতিতে হামাস সরাসরি সম্মত হয়েছে না—এ পর্যন্ত স্পষ্ট কোনো প্রতিশ্রুতি নেই।
বিজ্ঞাপন
দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি-চেষ্টাও হয়েছে; কিছু সময়ের জন্য বিরতি কার্যকর থাকলেও তা স্থায়ী হয়নি এবং সংঘর্ষ অব্যাহত থেকেছে। ট্রাম্পের বক্তব্য আসে এমন সময়ে যখন মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও নিরাপত্তা বাড়াতে বিভিন্ন কূটনৈতিক উদ্যোগ তীব্র হচ্ছে।
সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল