মঙ্গল গ্রহের অভিজ্ঞতা পাওয়া যাবে ৩০ সেকেন্ডেই

মঙ্গলের লাল পাহাড়, ধূসর আকাশ আর মরুর বুক জুড়ে মহাকাশঘেঁষা স্থাপত্য, দেখে মনে হবে যেন সত্যিই মঙ্গলগ্রহে এসে পড়েছেন! অথচ এই স্বপ্নময় দৃশ্যের সবটাই পৃথিবীর মাটিতে।
বিজ্ঞাপন
চীনের উত্তর-পশ্চিমের গানসু প্রদেশের জিউচ্যাংয়ে গড়ে তোলা হয়েছে অনন্য এক আকর্ষণ ‘মার্স বেজ ওয়ান’, যেখানে মাত্র ৩০ সেকেন্ডেই পাওয়া যায় মঙ্গল ভ্রমণের অভিজ্ঞতা।
প্রায় ৬৭ কিলোমিটারজুড়ে গোবি মরুভূমির বুক চিড়ে তৈরি হয়েছে এই ভবিষ্যতমুখী ঘাঁটি। বেজ ক্যাম্পে প্রবেশ করলেই চোখে পড়বে অত্যাধুনিক নকশার একের পর এক ক্যাপসুল, স্যাটেলাইট লঞ্চ সেন্টার, রোভার রেপ্লিকা ও থ্রিডি প্রিন্টেড মার্শিয়ান আবাস।
বিজ্ঞাপন
চীনের মহাকাশ গবেষণা ও প্রযুক্তি সংস্থা বলছে, এটি মূলত মঙ্গল অভিযানের প্রস্তুতি ও জনসাধারণকে মহাকাশ প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচয় করানোর প্রকল্প। এখানকার দর্শনার্থীরা মহাকাশচারীদের ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি ঘনিষ্ঠভাবে দেখতে পারেন, এমনকি স্পেস স্যুট পরে মঙ্গলগ্রহে হাঁটার মতো অভিজ্ঞতাও নিতে পারেন।
দর্শনার্থীদের অনেকেই জানিয়েছেন, এই অভিজ্ঞতা একইসঙ্গে রোমাঞ্চকর ও শিক্ষণীয়।
কেউ কেউ বলেছেন, "মাথা ঘুরেছিল, আবার ভেতরটা কেমন যেন হালকা হয়ে গেল। ঠিক যেমনটা মহাকাশচারীরা বলেন!"
বিজ্ঞাপন
কেউ কেউ আবার প্রস্তাব দিয়েছেন, “মঙ্গল ও পৃথিবীর মধ্যাকর্ষণের পার্থক্য বোঝার জন্য যদি আলাদা মেশিন থাকত, অভিজ্ঞতাটা আরও বাস্তব হতো।”
আরও পড়ুন: হংকংয়ে রানওয়ে থেকে সাগরে ছিটকে পড়ল বিমান
এখানে রয়েছে আরও আকর্ষণীয় উপকরণ- সিমুলেটেড রকেট লঞ্চার, ম্যানুয়াল স্পেসক্রাফট ডকিং সিস্টেম, নক্ষত্র পর্যবেক্ষণের তাঁবু এবং হাইড্রোপনিক গাছের চাষ কেন্দ্র। যা মঙ্গলের মতো পরিবেশে উদ্ভিদের বিকাশ প্রদর্শন করে।
বিজ্ঞাপন
মার্স বেজ ওয়ান এখন চীনের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন ও শিক্ষা কেন্দ্র। বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও মহাকাশের প্রতি শিশুদের আগ্রহ বাড়াতে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।