৪ বছরের শিশুকে অপহরণের পর ধর্ষণ, রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে চার বছরের এক শিশুকে অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। দাদির পাশে ঘুমন্ত অবস্থায় শিশুটিকে তুলে নিয়ে যায় অভিযুক্ত। এই হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে হুগলি জেলার তারকেশ্বর এলাকায়।
বিজ্ঞাপন
রবিবার (৯ নভেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার তারকেশ্বর এলাকায় এক ৪ বছরের শিশুকে অপহরণ করে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার গভীর রাতে মেয়েটিকে অপহরণ করা হয়। এ সময় সে তার দাদির পাশে ঘুমিয়ে ছিল।
বিজ্ঞাপন
পুলিশ জানায়, শিশুটি বানজারা সম্প্রদায়ের সদস্য। সে পরিবারের সঙ্গে রেলওয়ে শেডের নিচে একটি খাটে মশারি টাঙিয়ে ঘুমাচ্ছিল। পরিবারের অভিযোগ, অভিযুক্ত ব্যক্তি মশারি কেটে শিশুটিকে তুলে নিয়ে যায়।
শনিবার দুপুরে তারকেশ্বর রেললাইনের পাশে নিকাশিনালার ধারে শিশুটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয়রা। দ্রুত তাকে তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শিশুটির অবস্থা আশঙ্কাজনক।
শিশুটির দাদি বলেন, আমি ওর সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিলাম। ভোর ৪টার দিকে কেউ ওকে নিয়ে যায়। বুঝতেই পারিনি কখন নিয়ে গেল। ওরা মশারি কেটে নিয়ে গেছে। সকালে ওকে নগ্ন অবস্থায় পাওয়া যায়।
বিজ্ঞাপন
কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি আরও বলেন, আমরা রাস্তায় থাকি কারণ সরকার আমাদের ঘর ভেঙে দিয়েছে। কোথায় যাব? আমাদের কোনো বাড়ি নেই।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শিশুটি বর্তমানে তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটির তদন্ত শুরু হয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। বিরোধীদল বিজেপি অভিযোগ করেছে, প্রথমে পুলিশ এফআইআর দায়ের করতে গড়িমসি করেছে।
বিজ্ঞাপন
বিজেপি নেতা ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এক্সে এক পোস্টে লিখেন, তারকেশ্বরে ৪ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ করা হয়েছে। পরিবার থানায় গেলেও এফআইআর নেওয়া হয়নি। মেয়েটিকে হাসপাতালে নেওয়া হয়, পরে চন্দননগরে রেফার করা হয়। পুলিশ ঘটনাটি ধামাচাপা দিচ্ছে। এটি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনের প্রকৃত চেহারা — যেখানে আইনের শাসন নেই, আছে কেবল ভণ্ড প্রতিচ্ছবি।
পুলিশের এক সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, শিশুটির পরিবারের অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে এবং অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ঘটনাস্থল ও আশপাশের এলাকায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন








