Logo

ইরান-ইসরায়েলের নতুন যুদ্ধের আশঙ্কা, প্রস্তুতি জোরদার

profile picture
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১০ নভেম্বর, ২০২৫, ২০:০৭
31Shares
ইরান-ইসরায়েলের নতুন যুদ্ধের আশঙ্কা, প্রস্তুতি জোরদার
ছবি: সংগৃহীত

মধ্যপ্রাচ্যে আবারও বড় ধরনের সংঘাতের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইরান ও ইসরায়েল দুই দেশই সর্বাত্মক যুদ্ধে জড়ানোর পথে এগিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য নিউইয়র্ক টাইমস। চলতি বছরের জুনে টানা ১২ দিন ধরে চলা ভয়াবহ সংঘাতের পরও পরিস্থিতি শান্ত হয়নি। বরং, দুই পক্ষ এখন আরও প্রস্তুত এবং উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (১০ নভেম্বর) প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, গত জুনের যুদ্ধ শেষে ইরান উল্লেখযোগ্য পরিমাণ উচ্চমাত্রায় সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম ধরে রেখেছে এবং আরও হাজারো ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির কাজ অব্যাহত রেখেছে।

অন্যদিকে, ইসরায়েল মনে করছে, তাদের পূর্ববর্তী অভিযানে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো পর্যাপ্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। তাই নতুন হামলার জন্য তারাও প্রস্তুতি নিচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

টাইমস অব ইসরায়েল-এর তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ইরানের কাছে ১১টি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির মতো উচ্চমাত্রার সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম রয়েছে। তেহরান দাবি করছে, এসব উপাদান নিরাপদ স্থানে সংরক্ষিত আছে। তবে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা বলছেন, ইউরেনিয়াম গোপন স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

আন্তর্জাতিক ক্রাইসিস গ্রুপের ইরান প্রকল্প পরিচালক আলি ভায়েজের ভাষ্য, তেহরান এখন একসঙ্গে দুই হাজার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের সক্ষমতা অর্জনের পথে কাজ করছে।

তিনি বলেন, ইরানের লক্ষ্য হচ্ছে এক আঘাতেই ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অচল করে দেওয়া। জুনের সংঘাতে ইরান অন্তত ৫০০ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল বলেও তিনি স্মরণ করিয়ে দেন।

বিজ্ঞাপন

২০১৫ সালের ইরান ও পশ্চিমা দেশগুলোর পরমাণু চুক্তি সম্প্রতি আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়েছে। ফলে তেহরানের ওপর পুনরায় কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। এর মধ্যে ইরান একটি নতুন ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র নির্মাণ করছে, যেখানে আন্তর্জাতিক পরিদর্শকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ।

গালফ অঞ্চলের কূটনীতিকদের ধারণা, এই পরিস্থিতিতে ইসরায়েল যে কোনো সময় ইরানের ওপর নতুন হামলা চালাতে পারে। তারা বলছেন, যুদ্ধ এখন প্রায় অবশ্যম্ভাবী।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করে বলেছেন, যে দেশ ইসরায়েলকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে, তাদের সঙ্গে কোনো সহযোগিতা সম্ভব নয়।

বিজ্ঞাপন

বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরানের শাসকগোষ্ঠীর মধ্যেও এখন দুটি মত রয়েছে। একপক্ষ নতুন পরমাণু চুক্তির মাধ্যমে অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা করতে চায়, অন্যপক্ষ মনে করে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় লাভ নেই, বরং মুখোমুখি সংঘাতই একমাত্র পথ। তবে উভয় পক্ষই এক বিষয়ে একমত, ইসরায়েলের সঙ্গে আরেক দফা যুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী।

প্রসঙ্গত, গত জুনের যুদ্ধে ইসরায়েলের বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইরানের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক কর্মকর্তা ও বিজ্ঞানীরা নিহত হন। ইরান প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েলের দিকে ৫০০ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং ১,১০০ ড্রোন নিক্ষেপ করেছিল। ওই সংঘাতে ইসরায়েলে ৩২ জন নিহত ও তিন হাজারের বেশি আহত হয়। ইরানেও প্রাণ হারায় এক হাজারের বেশি মানুষ, ক্ষতিগ্রস্ত হয় হাজারো ভবন ও অবকাঠামো।

বিজ্ঞাপন

বিশ্লেষকদের মতে, মধ্যপ্রাচ্যে এই উত্তেজনা নতুন এক আঞ্চলিক যুদ্ধের সূচনা করতে পারে, যার প্রভাব ছড়িয়ে পড়বে পুরো বিশ্বে।

জেবি/এএস
Logo

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ

মোঃ শফিকুল ইসলাম ( শফিক )

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ৫৭, ময়মনসিংহ লেন, ২০ লিংক রোড, বাংলামটর, ঢাকা-১০০০।

ফোনঃ 02-44615293

ই-মেইলঃ dailyjanobaninews@gmail.com; dailyjanobaniad@gmail.com

জনবাণী এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। কপিরাইট © ২০২৫

Developed by: AB Infotech LTD