বেলেমে কপ-৩০: জলবায়ু সংকটে নতুন দিগন্ত

আমাজনের হৃদয়ে বেলেম শহরে শুরু হয়েছে বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলন কপ-৩০। বিশ্বের প্রায় ২০০টি দেশের মন্ত্রী ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা মিলিত হয়েছেন জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় কার্যকর কৌশল নির্ধারণের জন্য। সম্মেলনের মূল লক্ষ্য: বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি বিপজ্জনক সীমায় পৌঁছানোর আগে রুখে দেওয়া।
বিজ্ঞাপন
গত সপ্তাহে সম্মেলন কেন্দ্রে একাধিক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আলোচ্য বিষয় ছিল—জলবায়ু পদক্ষেপ, বন সংরক্ষণ, জৈব জ্বালানি সম্প্রসারণ এবং সংকটকালে সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণ। ৬ ও ৭ নভেম্বরের “নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনে” অংশ নেন ৫০-এর বেশি রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান বা তাঁদের প্রতিনিধি। উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডের লেইন এবং জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্জ।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্মেলনে অংশ নেননি। রাশিয়ার ভ্লাদিমির পুতিন, চীনের শি জিনপিং এবং ভারতের নরেন্দ্র মোদি সরাসরি উপস্থিত ছিলেন না, তবে ব্রাজিলের সঙ্গে ভবিষ্যৎ সহযোগিতা নিয়ে বন্ধুত্বপূর্ণ আলোচনায় অংশ নেন।
বাংলাদেশের জন্য সম্ভাবনা
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। কপ-৩০ থেকে দেশে পাওয়া যেতে পারে:
জলবায়ু অর্থায়ন বৃদ্ধি: অভিযোজন ও ক্ষতিপূরণ তহবিল থেকে আর্থিক সহায়তা।
নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ: সৌর ও বায়ু বিদ্যুৎ খাতে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগের সুযোগ।
বিজ্ঞাপন
বন সংরক্ষণ ও কার্বন ক্রেডিট: বৈশ্বিক কার্বন বাজার থেকে আয়।
উপকূল রক্ষা ও অবকাঠামো উন্নয়ন: সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা।
দুর্যোগ প্রস্তুতি আধুনিকীকরণ: উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শক্তিশালী করা।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞান ও গবেষণায় সহায়তা: গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বৈশ্বিক তহবিল ও প্রশিক্ষণের সুযোগ পাবে।
বেলেমের কপ-৩০ শুধু জলবায়ু সংকট নিয়ন্ত্রণের আলোচনার মঞ্চ নয়, এটি টেকসই ও ন্যায়ভিত্তিক পৃথিবী গড়ার প্রতিশ্রুতিরও প্রতীক। বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশগুলো আরও শক্তিশালীভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা করতে পারবে।








