বিস্ফোরণের তীব্রতায় ৩০০ মিটার দূরে ছিটকে গেল পুলিশের দেহাংশ

ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগরের নওগাম থানা চত্বরে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় ঘনিয়ে আসছে মৃত্যুর মর্মন্তুদ দৃশ্য। বিস্ফোরণের মুহূর্তটি ধরা পড়েছে থানার পাশের একটি বাড়ির সিসিটিভি ক্যামেরায়। সেই ফুটেজে দেখা যায়, বিস্ফোরণের শক্তিশালী ধাক্কায় নিহতদের দেহ ও দেহাংশ ছিটকে থানার ভেতর থেকে প্রায় ৩০০ মিটার দূর পর্যন্ত গিয়ে পড়েছে। তবে এসব ভিডিওর সত্যতা স্বাধীনভাবে যাচাই করা হয়নি।
বিজ্ঞাপন
সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের তথ্য মতে, শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) রাতে থানার ভেতরে বাজেয়াপ্ত করা বিপুল পরিমাণ অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট পরীক্ষা চলার সময় আকস্মিকভাবে বিস্ফোরণ ঘটে। শক্তিশালী এ বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত ৯ জন নিহত এবং ২৭ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের অধিকাংশই পুলিশ ফরেনসিক শাখার কর্মকর্তা ও কর্মী।
কাশ্মীর পুলিশের ডিজিপি জানিয়েছেন, রাত ১১টা ২০ মিনিটে বিস্ফোরক পদার্থ পরীক্ষা করার সময়ই ঘটনায় ঘটে। কোনো ধরনের নাশকতা বা বাইরের প্রভাব নয়—প্রাথমিকভাবে এটিকে চিকিৎসা-প্রযুক্তিগত ত্রুটিজনিত দুর্ঘটনা বলেই মনে করা হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয়দের বরাতে জানা গেছে, বিস্ফোরণের শব্দ এতটাই তীব্র ছিল যে ১৫ কিলোমিটার দূর থেকেও তা স্পষ্টভাবে শোনা গেছে। পুরো থানার কাঠামো ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় মুহূর্তেই। ভবন, দেয়াল, জানালা, যানবাহন—সবকিছুই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া দেহাবশেষ উদ্ধারেও উদ্ধারকারী দলকে হিমশিম খেতে হয়েছে।
বিস্ফোরকটি ছিল মূলত ৩৬০ কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট, যা সম্প্রতি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী জইশ-ই-মোহাম্মদের সমর্থনে পোস্টার লাগানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া চিকিৎসক আদিল আহমেদের তথ্যের ভিত্তিতে ফরিদাবাদ থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল। এই ভয়াবহ বিপর্যয়ের কারণ খতিয়ে দেখতে বর্তমানে তদন্ত চলছে।
বিজ্ঞাপন








