দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ায় ভূমিকম্প নিয়ে ‘রেড অ্যালার্ট’

দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার কয়েকটি দেশে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে শক্তিশালী ভূমিকম্পের সম্ভাবনা রয়েছে বলে ‘রেড অ্যালার্ট’ এর তথ্য দিয়ে গত ২১ নভেম্বর সকাল ৫:৫৯ মিনিটে পোস্ট করেছিল Earthquake News Everyday নামক ফেসবুক পেজ থেকে জানানো হয়েছিল।
বিজ্ঞাপন
ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২১ নভেম্বর থেকে ৫ ডিসেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত হিন্দুকুশ পর্বতমালা ও পামির অঞ্চলে ম্যাগনিচিউড ৫.০ থেকে ৭.৬ পর্যন্ত শক্তিশালী ভূমিকম্প এবং মাঝারি থেকে মৃদু কম্পনের সম্ভাবনা রয়েছে।
বিশেষভাবে প্রভাবিত অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে আফগানিস্তান, কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান, পাকিস্তান, নেপাল, মিয়ানমার এবং ভারতের কাশ্মীর, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ, মেঘালয়, আসাম ও মণিপুর।
বিজ্ঞাপন
এছাড়াও আফগানিস্তান-তাজিকিস্তান সীমান্ত, কিরগিজস্তান-চীন সীমান্ত, কাজাখস্তান, মঙ্গোলিয়া, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান ও উজবেকিস্তানেও সম্ভাব্য কম্পন হতে পারে।
মৃদু থেকে মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প (ম্যাগনিচিউড ৪.০–৬.৫) অনুভূত হতে পারে ভুটান, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডেও।

তবে সিসমিক গবেষকরা স্পষ্টভাবে জানাচ্ছেন, এটি কোনো নিশ্চিত ভূমিকম্প নয়, বরং সাম্প্রতিক টেকটনিক প্লেটের অস্বাভাবিক নড়াচড়া ও একের পর এক ছোট কম্পনের ভিত্তিতে করা ঝুঁকি বিশ্লেষণ। তবুও পরিস্থিতি দ্রুত বদলে যেতে পারে। তাই সবাইকে আতঙ্ক নয়, সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
বিশেষ করে, উঁচু ভবনে থাকলে জরুরি পরিকল্পনা হাতের কাছে রাখা, ভারী আসবাবপত্র নিরাপদে স্থির করে রাখতে বলা হয়েছে। এছাড়া কম্পন অনুভূত হলে তৎক্ষণাৎ নিরাপদ স্থানে সরে যেতে এছাড়া স্থানীয় ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের নিয়মিত আপডেট অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই মুহূর্তে প্রকৃতি কোনো হুঁশিয়ারি সংকেত দিচ্ছে, পরিস্থিতি যে কোনো সময় বদলে যেতে পারে, তাই স্থানীয় ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের আপডেট নিয়মিত অনুসরণ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।








