এক বছরে ১৩ লাখ মানুষ নতুন করে এইচআইভি–সংক্রমিত

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, বিশ্বব্যাপী এইচআইভি প্রতিরোধে দীর্ঘদিনের অগ্রগতি এখন সংকটের মুখে। ২০২৪ সালে নতুন করে ১৩ লাখ মানুষ এইচআইভিতে আক্রান্ত হয়েছেন। সংস্থার সতর্কবার্তা অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক দাতাদের অর্থায়ন কমে যাওয়ায় চিকিৎসা, পরীক্ষা ও কমিউনিটি-ভিত্তিক সেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
ডব্লিউএইচও মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস বলেন, আমরা বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। অর্থায়নের হ্রাসে প্রতিরোধ কার্যক্রম স্থবির হয়েছে। অনেক দেশে এইচআইভি সেবা আংশিক বা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।
২০২৪ সালে বিশ্বজুড়ে মোট ৪ কোটি ৮ লাখ মানুষ এইচআইভিতে আক্রান্ত ছিল, আর ৬ লাখ ৩০ হাজার মানুষ এইচআইভি–সম্পর্কিত কারণে মারা গেছে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, নতুন সংক্রমণের বড় অংশই ঝুঁকিপূর্ণ ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীতে বেশি দেখা যাচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
তবে ২০২৫ সালে অগ্রগতি হয়েছে। ডব্লিউএইচও অনুমোদন দিয়েছে নতুন প্রি-এক্সপোজার প্রফিল্যাক্সিস (PrEP) ওষুধ ‘লেনাকাপাভি’, যা বছরে মাত্র দুইবার ইনজেকশনের মাধ্যমে নেওয়া যায়। এটি বিশেষভাবে কার্যকর হবে যারা দৈনিক ওষুধ নিতে অসুবিধা অনুভব করেন বা সামাজিক কলঙ্কের কারণে স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হন।
ড. তেরেজা কাসায়েভা বলেন, আমরা এইচআইভি প্রতিরোধ ও চিকিৎসার নতুন এক যুগে প্রবেশ করেছি। তবে জরুরি বিনিয়োগ না হলে লাখ লাখ মানুষ এই অগ্রগতি থেকে বঞ্চিত হবে।
বিজ্ঞাপন
ডব্লিউএইচও সকল সরকারকে আহ্বান জানিয়েছে, ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা প্রাথমিক স্তরে একীভূত করতে, স্থানীয় বিনিয়োগ বাড়াতে এবং তাদের মানবাধিকার রক্ষায় পদক্ষেপ নিতে।








