হাদির হত্যাকাণ্ডে কাউকে গ্রেপ্তার করেনি ভারত: ভারতীয় মিডিয়া

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহিদ শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকারীদের ভারতের মেঘালয় রাজ্যে পালিয়ে যাওয়ার দাবি ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় পুলিশ এবং বিএসএফ। একই সঙ্গে তারা এই হত্যাকাণ্ডে যুক্ত কাউকে আটকের কোনো তথ্যও অস্বীকার করেছেন।
বিজ্ঞাপন
মেঘালয় পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিন্দুস্তান টাইমসকে জানান, বাংলাদেশ পুলিশের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো যোগাযোগ পাওয়া যায়নি। প্রতিবেদনে উল্লেখিত কোনো অভিযুক্তকে (পুত্তি ও সামী) গ্রেপ্তার করা হয়নি এবং তারা মেঘালয়ের গারো পাহাড় এলাকায়ও শনাক্ত হয়নি।
মেঘালয় পুলিশ মহাপরিদর্শক (ডিজিপি) ইদাশিশা নংরাং বলেন, এই সংক্রান্ত কোনো নিশ্চিত তথ্য নেই। সমস্ত দাবিই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং বিভ্রান্তিকর।
বিজ্ঞাপন
বিএসএফের মেঘালয় ফ্রন্টিয়ার প্রধান ওপি উপাধ্যায়ও বলেন, হালুয়াঘাট সীমান্ত দিয়ে সন্দেহভাজনরা প্রবেশ করেছে এমন কোনো প্রমাণ নেই।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এস এন মো. নজরুল ইসলাম আগের দাবিকে সমর্থন করে জানিয়েছেন, তাদের ইনফরমাল চ্যানেলের মাধ্যমে মেঘালয় পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগে জানা গেছে, পুত্তি ও তার স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে মেঘালয় পুলিশ এবং বিএসএফ উভয়ই এই তথ্য অস্বীকার করেছে এবং বলেছেন, সব ধরনের সমন্বয় ছাড়াই এই দাবিগুলো প্রচার করা হয়েছে।
হাদির হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল ১২ ডিসেম্বর। মতিঝিল মসজিদ থেকে জুমার নামাজ শেষে প্রচারণা চালিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে যাওয়ার পথে মোটরসাইকেলে আসা প্রধান আসামি ফয়সাল করিম ও তার অজ্ঞাত সহযোগী চলন্ত অবস্থায় শরীফ ওসমান বিন হাদিকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে ১৫ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়, যেখানে ১৮ ডিসেম্বর রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
বিজ্ঞাপন
হাদির মৃত্যুতে ১৪ ডিসেম্বর ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের পল্টন থানায় হত্যাচেষ্টার মামলা দায়ের করেন। হাদির মৃত্যুর পর ২০ ডিসেম্বর আদালতের আদেশে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা (হত্যা) সংযোজনের অনুমতি দেওয়া হয়।
সূত্র: এডিটিভি, হিন্দুস্তান টাইমস, মেঘালয় মনিটর








