শীতের আগের প্রস্তুতি

চলছে হেমন্তকাল, যা শীতের আগমনের ঋতু। পৌষ ও মাঘ এই দুই মাস নিয়ে হয় শীতকাল।
বিজ্ঞাপন
চলছে হেমন্তকাল, যা শীতের আগমনের ঋতু। পৌষ ও মাঘ এই দুই মাস নিয়ে হয় শীতকাল। শীত শুরু হওয়ার আগে বেশ কিছু বিষয় লক্ষ্য রাখা দরকার। প্রকৃতি তখন আপন রুপে পরিবর্তন হতে থাকে। এ সময় আকাশ থাকে পরিষ্কার, সকালে শিশির পড়ে, রাত হয় দীর্ঘ, আর বাতাসে যে ঠান্ডা ভাব অনুভূত হয় তা যেন মনকে করে আন্দদিত।
গ্রামবাংলার মানুষ সামনে শীত আসছে তাই শীতের আগের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। এ সময় গরম কাপড় বের করে ধুয়ে রোদে শুকায়, কেউ কেউ নতুন চাদর, কম্বল বা সোয়েটার কিনে রাখে। শহরেও দোকানে গরম পোশাক আর শীতের পণ্যের চাহিদা বেড়ে যায়।
কৃষকদের জন্য এই সময়টা বেশ ব্যস্ততার। ধান কাটার কাজ শেষ করে তারা রবিশস্য চাষের প্রস্তুতি নেয়। এছাড়াও গম, সরিষা, আলু ও শাকসবজি ইত্যাদি বপনের সময় ঘনিয়ে আসে।
বিজ্ঞাপন
শীতের শুরুতে স্বাস্থ্য সচেতনতা: বাংলাদেশে ধীরে ধীরে শীতের আগমন ঘটছে। এ সময় স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন হয়ে পড়ে। আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে দেখা যায়, সর্দি-কাশি, জ্বর ও ত্বকের শুষ্কতার মতো মৌসুমি রোগ বাড়ছে।
চিকিৎসকরা বলছেন, ঋতু পরিবর্তনের এই সময়টায় সতর্কতা অবলম্বন করলেই সহজে এসব রোগ থেকে বাঁচা সম্ভব।
বিজ্ঞাপন
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মতে, শীতের শুরুতেই সবাইকে উষ্ণ পোশাক ব্যবহার করতে হবে এবং রাতে ঠান্ডা বাতাস থেকে শরীর রক্ষা করতে হবে। শিশু ও বৃদ্ধদের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা নেওয়া জরুরি, কারণ তাদের শরীরে তাপমাত্রা দ্রুত কমে যায়।
তথ্য মতে, প্রতিদিন হালকা ব্যায়াম বা হাঁটা শরীরের রক্তসঞ্চালন ঠিক রাখে এবং ঠান্ডা প্রতিরোধে সাহায্য করে। সূর্যের আলোয় কিছুক্ষণ বসলে শরীরে ভিটামিন ডি তৈরি হয়, যা হাড় ও রোগ প্রতিরোধে কার্যকর।
এছাড়া ত্বকের যত্ন নেওয়াও জরুরি। ময়েশ্চারাইজার বা প্রাকৃতিক তেল ব্যবহার, পর্যাপ্ত পানি পান এবং নিয়মিত হাত ধোয়ার অভ্যাস শীতজনিত সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।
বিজ্ঞাপন
বিশেষজ্ঞরা সবাইকে শীতের শুরুতেই স্বাস্থ্য সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে মৌসুমি রোগের প্রকোপ কমে এবং শীতকাল আনন্দময়ভাবে উপভোগ করা যায়।
শীতের আগমনে খাবারের পরিবর্তন: শীতের আগমনের সঙ্গে খাবারেও পরিবর্তন আসে। খেজুরের গুড় তৈরির জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ে গাছিরা।
বিজ্ঞাপন
এছাড়াও শরীর গরম রাখে এমন খাবার যেমন খেজুরের গুড়, তিল, কলাই, আদা, মধু, দুধ ও ডিম খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। পাশাপাশি রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে মৌসুমি ফল, বিশেষ করে কমলা ও পেয়ারা খেতে হবে।
শীতের আগমনে খেজুরের রস সংগ্রহের জন্য প্রস্তুত হতে দেখা যায় গাছিদের। সেই সঙ্গে ঘরে ঘরে পিঠা তৈরির উপকরণ মজুত করা হয়। গ্রামীণ মেলায় বা হাটে শীতকালীন খাবারের আয়োজন দেখা যায়।
যেসব বিষয় থেকে সর্তক থাকতে হবে
বিজ্ঞাপন
হালকা কাপড় পড়া থেকে দূরে থাকতে হবে।
ঠান্ডা পানি বা বরফজাত খাবার পরিহার করতে হবে।
শীতকালে বাতাসে ধুলাবালি বেড়ে যায়, যা শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি ও এলার্জির রোগীদের জন্য ক্ষতিকর। তাই বাইরে বের হলে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে এবং ধুলাবালিতে কম যাতায়াত করতে হবে।
বিজ্ঞাপন
গরম পানিতে দীর্ঘ সময় গোসল না করা ভালো, এতে ত্বক আরও শুষ্ক হয়।
তবে সর্তক থাকতে হবে যেন আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে জ্বর, সর্দি-ঠান্ডা বা কাশি না লাগে। এ সময় সহজেই এই সব রোগব্যধি দেখা যায়। বিশেষ করে শিশুদের সত্নে রাখা দরকার। কেননা শিশুরা খুব সহজেই আক্রান্ত হয়ে পড়ে। সেইসঙ্গে বয়স্ক-বৃদ্ধদেরও সচেতন থাকতে হয়।