শীতকালে ভেজা না শুকনা, যেভাবে বাদাম খেলে মিলবে বেশি উপকার

শীতকালে শরীরকে ভেতর থেকে গরম রাখা এবং শক্তিশালী রাখতে আমন্ড বা বাদাম অনেক উপকারী বলে মনে করেন পুষ্টিবিদরা। ভিটামিন ই, ফাইবার, প্রোটিন, ম্যাগনেসিয়াম ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাটে ভরপুর এই বাদাম একদিকে যেমন মস্তিষ্ক ও হৃদ্যন্ত্রের জন্য ভালো, তেমনি ত্বক ও চুলের যত্নেও বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখে।
বিজ্ঞাপন
তবে অনেকেরই প্রশ্ন শীতকালে আমন্ড ভিজিয়ে খাওয়া ভালো, না শুকনো অবস্থায় খাওয়া ভালো? বিশেষজ্ঞদের মতে, দুটি পদ্ধতিরই নিজস্ব উপকারিতা রয়েছে। তবে সঠিক উপায়ে ও সঠিক সময়ে খেলে এর পুষ্টিগুণ আরও অনেকগু বেড়ে যায়।
ভেজানো আমন্ডের উপকারিতা
১. সহজে হজম হয়: পানিতে ভিজিয়ে রাখলে বাদামের বাইরের স্তর নরম হয়, ফলে এটি চিবানো ও হজম করা বেশ সহজ হয়।
বিজ্ঞাপন
২. পুষ্টি শোষণে সহায়তা করে: ভেজানোর ফলে এনজাইম সক্রিয় হয়ে শরীর ভিটামিন ও খনিজ সহজে শোষণ করতে পারে।
৩. ত্বক ও চুলের যত্নে কার্যকর: ভেজানো আমন্ডে ভিটামিন ই-এর প্রভাব বেশি থাকে, যা ত্বক নরম ও চুল মজবুত রাখতে সাহায্য করে।
বিজ্ঞাপন
শুকনা আমন্ডের উপকারিতা
১. শরীর গরম রাখে: শীতকালে শুকনা আমন্ড শরীরে উষ্ণতা বজায় রাখে।
২. দীর্ঘস্থায়ী শক্তি দেয়: এতে থাকা স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ধীরে ধীরে শক্তি নির্গত করে, ফলে সারাদিন সক্রিয় থাকা যায়।
বিজ্ঞাপন
৩. সহজ স্ন্যাকিং: শুকনা আমন্ড বহন ও খাওয়া সহজ—অফিসে, ভ্রমণে বা চায়ের সঙ্গে মুহূর্তে খাওয়া যায়।
খাওয়ার সঠিক উপায়
আরও পড়ুন: ওজন কমাতে যেসব সবজি খেতে হবে, জেনে নিন
বিজ্ঞাপন
যাদের হজমশক্তি দুর্বল বা ব্রণের সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য ভেজানো আমন্ড ভালো। আর যারা শরীর গরম রাখতে ও বেশি শক্তি চান, তারা সকালে দুধের সঙ্গে শুকনা আমন্ড খেতে পারেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শীতকালে প্রতিদিন ৪–৬টি বাদাম খাওয়াই যথেষ্ট।
উল্লেখ্য
শীতকালে ভেজানো আমন্ড শরীরকে সহজে পুষ্টি শোষণে সাহায্য করে, আর শুকনা আমন্ড দেয় দীর্ঘস্থায়ী শক্তি ও উষ্ণতা। তাই পুষ্টিবিদদের পরামর্শ—দুটো পদ্ধতিই বেশ ভালো, তবে পরিমাণ ও সময়ের দিকে খেয়াল রাখলে মিলবে সর্বোচ্চ উপকার।








