খুশকি দূর করতে শুধু শ্যাম্পুই যথেষ্ট নয়

শীতকালে কালো পোশাক পরার ক্ষেত্রে অনেকেরই প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়ায় অনাকাঙ্ক্ষিত খুশকি। অনেকেই মনে করেন নিয়মিত শ্যাম্পু না করা বা অপরিচ্ছন্নতাই এর মূল কারণ।
বিজ্ঞাপন
তবে চিকিৎসা বিজ্ঞান বলছে খুশকি কেবল সাধারণ কোনো সমস্যা নয়, বরং এটি এক ধরনের ‘ডিজঅর্ডার’। জার্নাল অফ ইনভেস্টিগেটিভ ডার্মাটোলজি সিম্পোজিয়াম প্রসিডিংস- এর তথ্য অনুযায়ী বলা যায়, বিশ্বের প্রায় অর্ধেক প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ এই সমস্যায় ভুগছেন, যাকে পরিভাষায় ‘সেবোরিক ডার্মাটাইটিস’ বলা হয়।
আরও পড়ুন: শীতকালে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা
গবেষণায় জানা যায়, শুধু অপরিচ্ছন্নতা নয়, বরং মাথার ত্বকের স্পর্শকাতরতা, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, মানসিক চাপ এবং ডায়েটের ওপর খুশকি হওয়া সরাসরি নির্ভর করে। বিশেষ করে স্ট্রেস বা হরমোনের পরিবর্তনের কারণে মাথার ত্বকে ক্ষরণ বেড়ে গেলে খুশকি হওয়ার অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়।
বিজ্ঞাপন
অনেকেই আছেন খুশকি তাড়াতে চুলে নিয়মিত তেল মাখার পরামর্শ দিয়ে থাকে, কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন ভিন্ন কথা। ইন্ডিয়ান জার্নাল অফ ডার্মাটোলজির- তথ্য অনুযায়ী, খুশকি আক্রান্ত মাথায় তেল মাখলে হিতে বিপরীত হতে পারে। এতে মাথার ত্বকে প্রদাহ বা ইনফ্লেমেশন বেড়ে যায় এবং ফাঙ্গাল ইনফেকশন হওয়ার ঝুঁকি থাকে, যা চুলে জট পাকানো বা চুল পড়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। এক্ষেত্রে তেলের বদলে কম ঘনত্ব-যুক্ত সিরাম ব্যবহার করা বেশি কার্যকর হতে পারে।
আরও পড়ুন: শীতের রাতে তেলাপোকার উপদ্রব বন্ধের উপায়
খুশকির স্থায়ী সমাধানের জন্য শুধু বাহ্যিক প্রসাধন নয়, বরং জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনা প্রয়োজন।
বিজ্ঞাপন
চিকিৎসকদের মতামতে, মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ, পর্যাপ্ত বিশ্রাম এবং প্রচুর জল খাওয়ার পাশাপাশি ডায়েটে জিঙ্ক ও ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার রাখা প্রয়োজন। শীতের শুষ্কতা ও দূষণ থেকে মাথার ত্বক বাঁচাতে সামগ্রিক সচেতনতাই হতে পারে খুশকি থেকে মুক্তির আসল উপায়।








