পোস্টাল ব্যালটে ব্যর্থতার হার ২৪ শতাংশ, এটি বড় চ্যালেঞ্জ: ইসি

নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ জানিয়েছেন, পোস্টাল ব্যালট পদ্ধতির বড় দুটি চ্যালেঞ্জ হলো ভোটের গোপনীয়তা রক্ষা এবং আদালতের আদেশে প্রার্থী তালিকা পরিবর্তন হলে ভোট বাতিল হওয়ার ঝুঁকি। এছাড়া আন্তর্জাতিকভাবে ডাকযোগে ব্যালট পৌঁছানোর ব্যর্থতার হার প্রায় ২৪ শতাংশ, যা বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
বিজ্ঞাপন
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন ভবনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় লন্ডন হাইকমিশন এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে অনলাইনে যুক্ত হয়ে তিনি এ তথ্য জানান।
তিনি উল্লেখ করেন, দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর প্রথমবারের মতো প্রবাসী বাংলাদেশিরা ভোট দিতে যাচ্ছেন। কমিশনের গবেষণার পর দুটি পদ্ধতি বিবেচনায় আনা হয়, পোস্টাল ব্যালট এবং অনলাইন ভোটিং। তবে প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতার কারণে অনলাইন ভোটিং সম্ভব না হওয়ায় আপাতত পোস্টাল ব্যালটকেই কার্যকর সমাধান হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
ইসি সানাউল্লাহ বলেন, ভোটারদের অনলাইনে নিবন্ধন করতে হবে। যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র রয়েছে তারা ইতোমধ্যেই ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত। তবে প্রবাস থেকে ভোট দেওয়ার জন্য আলাদা করে নিবন্ধন করতে হবে। নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে একটি অ্যাপ চালু করা হবে, যেখানে এই নিবন্ধন সম্পন্ন করা যাবে। প্রতিটি অঞ্চলের জন্য ৭ থেকে ১০ দিন সময় নির্ধারণ করা হবে, প্রয়োজনে সময় আরও বাড়ানো হবে।
তিনি জানান, নিবন্ধনের পর প্রতীক বরাদ্দ শেষ হলে সংশ্লিষ্ট ভোটারদের কাছে প্রতীকসংবলিত ব্যালট পাঠানো হবে। পরে তা ডাকযোগে ফেরত পাঠাতে হবে। ভোট দেওয়ার প্রক্রিয়ায় প্রবাসীদের কোনো খরচ বহন করতে হবে না, তবে সরকারের প্রতিটি ভোটে প্রায় ৭০০ টাকা ব্যয় হবে।
বিজ্ঞাপন
পোস্টাল ব্যালটে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী নিবন্ধনের হার কম হলেও প্রবাসীদের আগ্রহ বেশি বলে মন্তব্য করেন ইসি। ভারত, পাকিস্তান, মালয়েশিয়ার উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, সীমিত প্রত্যাশা নিয়েও আমরা সফল হতে চাই। এ উদ্যোগকে শুরু করা জরুরি, যাতে ভবিষ্যতেও প্রবাসীরা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন।