নির্বাচনে মাঠ প্রশাসনকে নিরপেক্ষভাবে কাজের নির্দেশ দেওয়া হবে

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যে প্রশাসন, পুলিশ এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
রবিবার (১২ অক্টোবর) সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি জানান, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ওসিদের নিরপেক্ষভাবে কাজ করার নির্দেশনা প্রদান করার বিষয় আলোচনা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, “নির্বাচনের সময় কোনো কর্মকর্তা বা বাহিনী যেন আইনবহির্ভূত কাজে লিপ্ত না হয়, সে বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হবে। পাশাপাশি, সব ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন এবং পর্যাপ্ত বডি ওর্ন ক্যামেরার ব্যবস্থা করা হবে।”
জাহাঙ্গীর আলম আরও জানান, নির্বাচনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রায় দেড় লাখ পুলিশ সদস্যকে তিন দিনের মেয়াদি প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে, যা আগামী ১৫ জানুয়ারি ২০২৬-এর মধ্যে সম্পন্ন হবে। একইসঙ্গে আনসার ও ভিডিপির প্রায় ৫ লাখ ৮৫ হাজার সদস্যকেও নির্বাচনি দায়িত্ব পালনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, এবারের নির্বাচনে বিজিবির ১,১০০ প্লাটুনে প্রায় ৩৩ হাজার সদস্য এবং সশস্ত্র বাহিনীর ৮০ হাজার সদস্য মাঠে দায়িত্ব পালন করবেন।
বিজ্ঞাপন
পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতি নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, “এখন পাহাড়ে শান্তি বিরাজ করছে। অতীতে কিছু ফ্যাসিস্ট বুদ্ধিজীবী বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করেছিল, কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় সেই ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, মাদকবিরোধী অভিযানে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করা হচ্ছে। শুধু বাহক নয়, মাদকের গডফাদারদেরও আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করেন, প্রশাসনের নিরপেক্ষ ভূমিকা ও সমন্বিত নিরাপত্তা ব্যবস্থার ফলে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হবে।