ছেলে-মেয়ে সবাই দেশে, আমি একা গিয়ে কী করব

সেফ এক্সিট ইস্যুতে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ‘কে কী চায়, সেটা আমি জানি না। আমার ছেলে-মেয়ে সবাই দেশে আছে, আমি একা গিয়ে কী করব?’
বিজ্ঞাপন
রবিবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রায় ৮০ হাজার সেনা সদস্য মোতায়েন করা হবে। এছাড়া নির্বাচনী প্রক্রিয়া অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করতে নানা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রায় দেড় লাখ পুলিশ সদস্যকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে একটি ব্যাচের (৬ হাজার ৫০০ জন) প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে, দ্বিতীয় ব্যাচের প্রশিক্ষণ চলছে। ডিসেম্বরের মধ্যেই সব ব্যাচের প্রশিক্ষণ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এ ছাড়া এবারের নির্বাচনে বিজিবির ১,১০০ প্লাটুনে প্রায় ৩৩ হাজার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। ইতোমধ্যে ৬০ শতাংশ প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়েছে এবং ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে তা শেষ হবে।
বৈঠকে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়-
বিজ্ঞাপন
১. নির্বাচনে কোনো বিশৃঙ্খলা বা সহিংসতা সৃষ্টিকারীদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা।
২. নির্বাচনকে সুষ্ঠু করতে সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার মধ্যে সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা তৈরি।
৩. মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তা ডিসি, এসপি, ইউএনও ও ওসিদের নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: রাতের অন্ধকারে ভোট চাই না: সিইসি
৪. ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি ও মনিটরিং জোরদার করা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য বডি ওর্ন ক্যামেরা সরবরাহ।
৫. আগের তিন জাতীয় নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারীদের এবার সম্ভব হলে দায়িত্ব না দেওয়া।
বিজ্ঞাপন
উপদেষ্টা আরও বলেন, নির্বাচনের সময় সীমান্ত এলাকাগুলোর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেন অবনতি না ঘটে, সেজন্যও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। নির্বাচনে নিরাপত্তা বজায় রাখতে গোয়েন্দা নজরদারি ও টহল কার্যক্রমও জোরদার করা হবে।