‘মার্চ টু সচিবালয়’ কর্মসূচিতে অংশ নিতে শহীদ মিনারে হাজারো শিক্ষক

২০ শতাংশ বাড়িভাড়া ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে এবং আগের দিনের পুলিশি হামলার প্রতিবাদে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমবেত হয়েছেন দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা হাজারো বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক। সেখান থেকেই তারা সচিবালয় অভিমুখে ‘মার্চ টু সচিবালয়’ কর্মসূচি শুরু করবেন। আর কিছুক্ষণের মধ্যে তারা সচিবালয়ের উদ্দেশে রওনা হবেন।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) দুপুর ১২ টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।
জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের যুগ্ম সদস্য সচিব শিক্ষক আবুল বাশার ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের দাবি বাস্তবায়ন করতে কিছুক্ষণের মধ্যে সচিবালয় অভিমুখে ‘মার্চ টু সচিবালয়’ যাত্রা শুর করব।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, শিক্ষকদের উপর পুলিশ হামলা চালিয়েছিল। আজকে আমাদের উপর হামলা করলে আরো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
শিক্ষকরা জানান, আমাদের কর্মবিরতি চলবে। ২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া, ১৫০০ টাকা মেডিকেল ভাতা ও কর্মচারীদের জন্য ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতার প্রজ্ঞাপন জারি না করা পর্যন্ত কোনো শিক্ষক শ্রেণি কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করবেন না।
এর আগে সোমবার সকাল থেকে সারাদেশের সব বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। ফলে স্কুল–কলেজে ক্লাস কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে।
বিজ্ঞাপন
আন্দোলনরত শিক্ষকরা সরকারের প্রস্তাবিত ভাতা বৃদ্ধির হারকে ‘অপর্যাপ্ত ও অবাস্তব’ আখ্যা দিয়ে বলেন, ‘আমরা শুধু ন্যায্য প্রাপ্যটুকু চাই। আমাদের দাবি মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া ভাতা, চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধি এবং সর্বজনীন বদলি নীতি বাস্তবায়ন।’
গত রবিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে পুলিশ শিক্ষকদের সরাতে গেলে ধস্তাধস্তি ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এতে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে সংগঠনের নেতাদের আহ্বানে শিক্ষকরা শহীদ মিনারে অবস্থান নেন এবং সেখান থেকেই লাগাতার আন্দোলনের ঘোষণা দেন।
বিজ্ঞাপন
রবিবার ও সোমবার রাতভর রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করেন শিক্ষকরা। কেউ প্লাস্টিকের চট বিছিয়ে, কেউ ব্যানার মাথার নিচে দিয়ে রাত কাটান। তাদের দাবি, প্রজ্ঞাপন না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি ও আন্দোলন চলবে।
অন্যদিকে, সারাদেশের বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা বর্তমানে কর্মবিরতি পালন করে যাচ্ছেন। তারা প্রতিদিন নিয়মিতভাবে বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকলেও কোনো শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করছেন না, পাঠদান কার্যক্রমেও অংশ নিচ্ছেন না। বিদ্যালয়ের আঙ্গিনা, শিক্ষক লাউঞ্জ কিংবা অফিসকক্ষে বসেই তারা অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানাচ্ছেন জেলার ও উপজেলার শিক্ষকরা, ‘ন্যায্য দাবি বাস্তবায়ন চাই’ হ্যাশট্যাগে পোস্ট দিচ্ছেন শত শত শিক্ষক।
বিজ্ঞাপন