পর্নো-তারকা যুগলের চাঞ্চল্যকর তথ্য মিলল জাতীয় পরিচয়পত্রে

বাংলাদেশে বসেই পর্নো ভিডিও তৈরি ও প্রচারের অভিযোগে আলোচিত সেই পর্নো-তারকা যুগলকে অবশেষে বান্দরবান থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
বিজ্ঞাপন
সোমবার (২০ অক্টোবর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান।
সম্প্রতি ‘দ্য ডিসেন্ট’ নামে একটি অনলাইন সংবাদমাধ্যম এই যুগলকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করলে বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় আসে। পরে তদন্তে নেমে সিআইডি তাদের গ্রেফতার করে।
সিআইডি জানায়, ওই যুগল বাংলাদেশেই থেকে পর্নোগ্রাফিক ভিডিও ধারণ, সম্পাদনা ও অনলাইনে আপলোড করতেন। এর মাধ্যমে তারা উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ উপার্জন করছিলেন।
বিজ্ঞাপন
পুলিশ বলছে, শুধু নিজেরাই এই অপরাধে যুক্ত নয়, বরং তারা অন্যদেরও একই কর্মকাণ্ডে উৎসাহিত করছিলেন। যার ফলে দেশে বসে পর্নো ভিডিও তৈরির একটি নেটওয়ার্ক তৈরি হচ্ছিল।
বাংলাদেশের পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২ অনুযায়ী, পর্নো ভিডিও তৈরি, সংরক্ষণ বা প্রচার সবই ফৌজদারি অপরাধ।
বিজ্ঞাপন
জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য অনুযায়ী, ওই নারীর বয়স ২৮ বছর এবং তিনি মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার বাসিন্দা হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন।
কিন্তু স্থানীয়ভাবে অনুসন্ধান করে জানা গেছে, তিনি তার প্রথম স্বামীর বাড়ির ঠিকানা ব্যবহার করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তার স্বামী একজন জেলে, এবং আট বছর আগে ওই নারী বাড়ি ছেড়ে চলে যান।
বিজ্ঞাপন
সাবেক শ্বশুর জানিয়েছেন, “সে একদিন বাড়ি ছেড়ে চলে যায়, আর কোনোদিন ফিরে আসেনি।”
ওই নারীর বাবার বাড়িও একই উপজেলার অন্য একটি গ্রামে। মেয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমি এক বছর আগে তাকে ত্যাজ্য করেছি, এখন আর কোনো যোগাযোগ রাখি না।”
বিজ্ঞাপন
অন্যদিকে, পুরুষ সদস্যের জাতীয় পরিচয়পত্রে উল্লেখ আছে, তিনি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বাসিন্দা।
স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, “সে সমাজবিরোধী কর্মকাণ্ডে যুক্ত। তার কারণে গ্রামের মানহানি হচ্ছে।”
পুলিশের রেকর্ডে দেখা যায়, গত ২৫ আগস্ট চট্টগ্রামের আনোয়ারা থানায় মাদক সংক্রান্ত একটি মামলায় ওই পুরুষ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। কয়েকদিনের মধ্যেই তিনি মুক্তি পান।
বিজ্ঞাপন
গ্রেফতারের পর সিআইডি জানিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।