সরকারের ৩১ বিভাগকে নিয়ে বৈঠকে বসছে ইসি

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত করতে সরকারের ৩১টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে বৈঠকে বসছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রবিবার (৩০ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
বিজ্ঞাপন
ইসি সূত্র জানায়, নির্বাচনের সামগ্রিক প্রস্তুতি ও প্রশাসনিক সমন্বয়ের জন্য বৈঠকে ২২টি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে জোর দেওয়া হবে। নির্বাচনকালীন দায়িত্ব, অবকাঠামো, নিরাপত্তা, প্রচার, প্রযুক্তি এবং প্রশাসনিক সহায়তা বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো তাদের করণীয় নির্ধারণ করবে।
বৈঠকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন, নৌপরিবহন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, সমন্বয় ও সংস্কার দপ্তর সচিব, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব, অর্থ বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব উপস্থিত থাকবেন।
বিজ্ঞাপন
এ ছাড়া ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, সচিব (রুটিন দায়িত্ব), সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের মহাপরিচালক, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ বেতারের চেয়ারম্যান, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ঢাকার প্রধান প্রকৌশলী, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সচিব, কারা মহাপরিদর্শক বৈঠকে যোগ দেবেন।
ইসির এ বৈঠকে ২২টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হবে। সে গুলো হলো-
১. ভোটকেন্দ্রের স্থাপনা ও ভোটকেন্দ্রে যাতায়াতের রাস্তা মেরামত এবং ভৌত অবকাঠামো সংস্কার;
বিজ্ঞাপন
২. ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার প্যানেল প্রস্তুত ও নির্বাচনি দায়িত্ব পালন;
৩. পার্বত্য/দুর্গম এলাকায় নির্বাচনি দ্রব্যাদি পরিবহন এবং ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের ভোটকেন্দ্রে পৌঁছানোসহ নির্বাচনকালীন নির্বাচন কমিশনের ব্যবহারের জন্য হেলিকপ্টারের সহায়তা প্রদান;
৪. নির্বাচনি প্রচার-প্রচারণা, জনসচেতনতা, উদ্বুদ্ধকরণ ইত্যাদি বিষয়ে প্রচার মাধ্যম কর্তৃক ব্যবস্থা গ্রহণ;
বিজ্ঞাপন
৫. পর্যবেক্ষক নিয়োগে সহায়তা প্রদান;
৬. ঋণখেলাপি সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ, সংকলন ও প্রদান বিষয়ক কর্মপরিকল্পনা প্রস্তুত;
৭. নির্বাচন উপলক্ষে ব্যয় নির্বাহের জন্য বাজেট বরাদ্দ ও আনুষাঙ্গিক কার্যক্রম;
বিজ্ঞাপন
৮. জনবল, যানবাহন ও লজিস্টিক সাপোর্ট;
৯. নির্বাচনে শান্তিশৃঙ্খলা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে স্থানীয় প্রশাসন ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ব্যবস্থা গ্রহণ;
১০. নির্বাচনি আচরণবিধি প্রতিপালনের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করার লক্ষ্যে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ;
বিজ্ঞাপন
১১. বার্ষিক ও পাবলিক পরীক্ষার সময়সূচি পর্যালোচনা;
১২. দৈনন্দিন আবহাওয়ার পূর্বাভাস সংক্রান্ত তথ্য পর্যালোচনা;
১৩. ভোটগ্রহণ ও নির্বাচনি বিভিন্ন কার্যক্রম উপলক্ষে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা;
বিজ্ঞাপন
১৪. নির্বাচনের সময় স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মেডিকেল টিম গঠন ও প্রাসঙ্গিক কার্যক্রম গ্রহণ;
১৫. অগ্নিকাণ্ড ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্তৃক তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ;
আরও পড়ুন: নভেম্বরে নতুন পোশাকে মাঠে নামবে পুলিশ
বিজ্ঞাপন
১৬. নির্বাচনি এলাকায় বিদ্যমান নির্বাচনি প্রচার সামগ্রী অপসারণ;
১৭. নির্বাচনকালীন যানবাহন ও নৌ-যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা;
১৮. পোস্টাল ভোটিং ব্যবস্থাপনা ও পোস্টাল ব্যালটে ভোটপ্রদানের বিষয়ে সহযোগিতা;
বিজ্ঞাপন
১৯. জেলখানায়/আইনি হেফাজতে থাকা ব্যক্তিদের ভোটপ্রদানের ব্যবস্থা;
২০. এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুল ও মিথ্যা তথ্যের প্রচারণা রোধের কৌশল নির্ধারণ;
২১. সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা ও সংখ্যালঘুসহ সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ;
বিজ্ঞাপন
২২. বিবিধ।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বৈঠকের মূল লক্ষ্য হচ্ছে প্রশাসনের সব স্তরের সঙ্গে সমন্বয় করে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজন নিশ্চিত করা।







