জাতিসংঘে আ.লীগের চিঠিতে কোনো কাজ হবে না: তৌহিদ হোসেন

বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে জাতিসংঘের প্রতি আওয়ামী লীগের চিঠি পাঠানোর বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেছেন, জাতিসংঘে পাঠানো আওয়ামী লীগের চিঠিতে কোনো কাজ হবে না।
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন।
তৌহিদ হোসেন বলেন, জাতিসংঘ একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা। কোনো রাজনৈতিক দলের চিঠির ভিত্তিতে তারা পদক্ষেপ নেবে, এমনটা ভাবা ঠিক নয়। আওয়ামী লীগের পাঠানো চিঠি কূটনৈতিকভাবে কোনো প্রভাব ফেলবে না।
আরও পড়ুন: ২০২৬ সালের সরকারি ছুটির তালিকা অনুমোদন
বিজ্ঞাপন
গত শনিবার ঢাকায় জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) প্রতিনিধি স্টেফান লিলার বরাবর এক চিঠি পাঠায় আওয়ামী লীগ। দলের পক্ষে চিঠিটি পাঠান সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
চিঠিতে আওয়ামী লীগ দাবি করে, বাংলাদেশে বর্তমানে যে নির্বাচন প্রক্রিয়া চলছে তা অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নয়। তাই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ না আসা পর্যন্ত জাতিসংঘ ও ইউএনডিপিকে নির্বাচনী সহযোগিতা স্থগিত রাখার আহ্বান জানায় দলটি।
চিঠিতে আরও বলা হয়, সব রাজনৈতিক পক্ষের মধ্যে জাতীয় সংলাপ ও সমঝোতা উৎসাহিত করতে জাতিসংঘকে ভূমিকা নিতে হবে। মানবাধিকার, আইনের শাসন ও অংশগ্রহণমূলক রাজনীতি নিশ্চিত না হলে যে কোনো নির্বাচন ইউএনডিপির নীতিমালার পরিপন্থী হবে।
বিজ্ঞাপন
চিঠিতে ইউএনডিপির ‘ব্যালট প্রজেক্ট’সহ বাংলাদেশে চলমান নির্বাচনী সহায়তা কর্মসূচির সমালোচনা করা হয়। আওয়ামী লীগের দাবি, এ ধরনের কার্যক্রম আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘের নিজস্ব নীতিমালা লঙ্ঘনের ঝুঁকি তৈরি করছে, কারণ বর্তমান নির্বাচন প্রক্রিয়া ন্যায্য নয়।
তবে কূটনৈতিক মহল বলছে, জাতিসংঘ সাধারণত কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক দলের চিঠির ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেয় না। তারা রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের যোগাযোগকেই প্রাধান্য দেয়।
বিজ্ঞাপন
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের বক্তব্যে স্পষ্ট যে, অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগের এই পদক্ষেপকে কূটনৈতিকভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে না। তার ভাষায়, জাতিসংঘ তার নিজস্ব প্রক্রিয়ায় চলে, কোনো দলের অনুরোধে নয়।
ফলে রাজনৈতিক বার্তা হিসেবে আওয়ামী লীগের এই চিঠি আলোচনার জন্ম দিলেও, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এর বাস্তব কোনো প্রভাব পড়বে না বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।








