২ হাজার ৬০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তি চূড়ান্ত করছে সরকার

দেশব্যাপী সাধারণ ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে দুই হাজার ছয়শোর বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তির প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করার পরিকল্পনা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
বিজ্ঞাপন
শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার সোমবার (১৭ নভেম্বর) সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে নিজ দফতরে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা-বাসসকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এই তথ্য জানিয়েছেন।
ড. রফিকুল আবরার বলেন, যেসব প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির জন্য যোগ্য, তাদের বিষয় বিবেচনায় নিয়ে চলতি অর্থবছরে ২ হাজার ৬০০-এর বেশি প্রতিষ্ঠানকে অন্তর্বর্তী সরকার চূড়ান্তভাবে এমপিওভুক্ত করবে। এ ক্ষেত্রে মূল লক্ষ্য হলো শিক্ষকদের মান ও মর্যাদা বৃদ্ধি এবং কারিগরি শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন। আমাদের এমপিও মূলত কারিগরির শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে দেওয়া হবে।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও উল্লেখ করেন, রাজনৈতিক দলগুলো যদি আগাম ঘোষণা দেয় যে ক্ষমতায় গেলে তারা এমপিও প্রক্রিয়াকে অব্যাহত রাখবে এবং শিক্ষকদের মর্যাদা নিশ্চিত করবে, তাহলে আন্দোলনরত শিক্ষকরাও নিশ্চিত হয়ে ঘরে ফিরে যেতে পারবে। এটি বৃহত্তর জাতীয় ঐকমত্য গড়ে তুলতে সহায়ক হবে।
ড. রফিকুল আবরার বলেন, চলতি অর্থবছরে নন-এমপিও প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করতে মোট ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তবে এর মধ্যে ৫০ কোটি টাকা বিভিন্ন খাতে যেমন বাসা ভাড়া বৃদ্ধি ও বোনাসে ব্যয় হয়েছে। যেসব যোগ্য প্রতিষ্ঠান একাধিকবার এমপিওভুক্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছে, তাদের বিষয় বিশেষভাবে বিবেচনা করা হবে।
এছাড়া, শিক্ষা উপদেষ্টার সভাপতিত্বে সম্প্রতি নন-এমপিও ঐক্য পরিষদের সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
বৈঠকে নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশিত এমপিওভুক্তকরণ প্রক্রিয়া, নীতিমালা, বাস্তবায়ন কৌশল ও সরকারের চলমান পদক্ষেপ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
ড. রফিকুল আবরার বলেন, কারিগরি শিক্ষাকে যারা প্রমোট করছেন, তাদের কথা মাথায় রেখে এমপিওভুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। শুধুমাত্র সংখ্যার জন্য ঢালাওভাবে এমপিও দেওয়া হবে না।








