৩ দিনে পোস্টাল ভোটে নিবন্ধন ৮ হাজার ৯৬৬, শীর্ষে দক্ষিণ কোরিয়া

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রবাসী ভোটারদের জন্য শুরু হওয়া পোস্টাল ভোট নিবন্ধনে প্রথম তিন দিনে ৮ হাজার ৯৬৬ জন ভোটার তালিকাভুক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৮ হাজার ২৭৭ জন এবং নারী ৬৮৯ জন।
বিজ্ঞাপন
শনিবার (২২ নভেম্বর) দুপুর ৩টায় পোস্টাল ভোট বিডি অ্যাপের মাধ্যমে এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
নিবন্ধিত ভোটাররা ২৯টি দেশ থেকে রেজিস্ট্রেশন করেছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রবাসী ভোটার তালিকাভুক্ত হয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়া থেকে— ৪ হাজার ১৩১ জন। জাপান থেকে নিবন্ধন করেছেন ২ হাজার ৭৫ জন, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ১ হাজার ৭১ জন, চীন থেকে ৭৪৬ জন, মিশর থেকে ২২৯ জন এবং লিবিয়া থেকে ১৬১ জন ভোটার।
বিজ্ঞাপন
প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, নিবন্ধনের এই প্রথম পর্বে পূর্ব এশিয়া, দক্ষিণ আমেরিকা ও আফ্রিকার ৫২টি দেশের প্রবাসীরা অংশ নিতে পারবেন।
আউট অব কান্ট্রি ভোটিং সিস্টেম অ্যান্ড ইমপ্লিমেন্টেশন (ওসিভি–এসডিআই) প্রকল্পের টিম লিডার অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সালীম আহমাদ খান জানিয়েছেন, ১৯ নভেম্বর থেকে ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত এই নিবন্ধন চলবে। পরবর্তী পর্বের চিত্র ২৩ নভেম্বর জানা যাবে।
বাকি দেশের প্রবাসীরা ধাপে ধাপে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিবন্ধনের সুযোগ পাবেন। প্রতিটি অঞ্চলের জন্য পাঁচ দিন করে নিবন্ধনের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
সেটির পাশাপাশি দেশের ভেতরের তিন ধরনের ভোটারও নিবন্ধন করতে পারবেন। তারা ১৯ ডিসেম্বর থেকে ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিবন্ধন সম্পন্ন করতে পারবেন। বাদ পড়া প্রবাসীরাও একই সময় নিবন্ধন করতে পারবেন।
পোস্টাল ভোটিং প্রক্রিয়া সংক্ষেপে- ১. পোস্টাল ভোট বিডি অ্যাপের মাধ্যমে প্রচার ও নিবন্ধন; ২. ব্যালট পেপার ও তিন ধরনের খামের মুদ্রণ; ৩. নির্বাচন কর্মকর্তার উপস্থিতিতে পার্সোনালাইজেশন (ডাক বিভাগ); ৪. পোস্টাল ব্যালট প্রেরণ ও ট্র্যাকিং; ৫. ভোট প্রদান ও কাছাকাছি ডাকবাক্সে খাম রাখা; ৬. পোস্টাল ব্যালট ফেরত ও ট্র্যাকিং; ৭. রিটার্নিং অফিসারের কাছে ব্যালট পৌঁছানো এবং গণনা এবং ৮. ফলাফল ঘোষণা।
বিজ্ঞাপন
নিবন্ধন প্রক্রিয়া বিভিন্ন শ্রেণির জন্য:
প্রবাসী ভোটার: অ্যাপ ডাউনলোড → লগইন → এনরোলমেন্ট অ্যাকাউন্ট তৈরি → মোবাইল ও ইমেইল যাচাই → এনআইডি যাচাই → ফেসিয়াল রিকগনিশন → প্রবাসের ঠিকানা ও পাসপোর্ট তথ্য প্রদান → তালিকাভুক্তি ও নিবন্ধন সম্পন্ন।
সরকারি চাকরিজীবী: ওপেন এনরোলমেন্ট → লগইন → ফেসিয়াল রিকগনিশন ও এনআইডি যাচাই → ঠিকানা যাচাই → তালিকাভুক্তি → ব্যালট পেপার প্রেরণ।
বিজ্ঞাপন
ভোট কর্মকর্তা ও কারাবন্দি: সমানভাবে অ্যাপের মাধ্যমে ফেসিয়াল রিকগনিশন, এনআইডি যাচাই, ঠিকানা ও ওটিপি যাচাইয়ের পর তালিকাভুক্তি ও ব্যালট প্রেরণ।
প্রতিটি ধাপ নিশ্চিত করে ভোট প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও নিরাপদভাবে সম্পন্ন করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।









